পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8-फूझड-खांडक SS অনন্তর এক দিন খুব বড় বৃষ্টি হইল এবং রাজার বাগানে বিস্তর শুকনা ও কঁাচ ডালপালা ভাঙ্গিয়া পড়িল। মালী বেচারি কি উপায়ে এই আবৰ্জনারাশি সরাইবে ইহা ভাবিতেছে, এমন সময় ঐ যুবক তাহার নিকট গিয়া বলিল, “যদি তুমি এ সমস্ত আমাকে বিনামূল্যে ছাড়িয়া দাও, তুাহা হইলে এখনই আমি বাগান পরিষ্কার করিয়া দিতে পারি।” মালী তৎক্ষণাৎ এই প্ৰস্তাবে সম্মত হইল। তখন যুবক, পাড়ার ছেলেরা যেখানে খেলা করিত সেইখানে গোল এবং ছেলেদিগকে একটু একটু গুড় খাইতে দিয়া বলিল, “ভাই সকল, তোমরা আমার সঙ্গে আইস, রাজার বাগানটী পরিষ্কার করিতে হইবে।” ছেলেরা গুড় পাইয়া বড় খুসি হইয়াছিল; তাহারা সন্তুষ্টচিত্তে ডালপালা সমস্ত তুলিয়া আনিয়া রাস্তার উপর গাদা করিয়া রাখিল। সে দিন রাজার কুম্ভকারের কাঠের অনটন হইয়াছিল। সে হাড়ি কলসী পোড়াইবার জন্য কাঠ কিনিতে গিয়া ডালের গাদা দেখিতে পাইল এবং নগদ ষোল কাহণ ও কয়েকটা হাড়ি দিয়া সমস্ত কিনিয়া লইল । -- সমস্ত খরচখরচা বাদে যুবকের হাতে এইরূপে চব্বিশ কাহণ মজুত হইল। সে তখন একটা নূতন ফিকির বাহির করিল। বারাণসীতে পােচ শ ঘেসেড়া* ছিল। তাহারা প্রতিদিন মাঠে ঘাস আনিতে যাইত। যুবক নগরের বাহিরে এক স্থানে বড় বড় জালায় জল পুরিয়া রাখিল এবং উহা হইতে ঘেসেড়াদিগকে পিপাসার সময় জল দিতে লাগিল। ঘেসেড়ার তৃপ্ত হইয়া বলিল, “আপনি আমাদের এত উপকার করিতেছেন ; বলুন, আমরা কোন প্ৰত্যুপকার করিতে পারি কি না।” যুবক কহিল, “তাহার, জন্য এত ব্যস্ত কেন ? যখন প্রয়োজন হইবে তোমাদিগকে জানাইব।” এই সময়ে যুবকের সহিত এক স্থলপথ-বণিক ও এক জলপথ-বণিকের বেশ বন্ধুত্ব জন্মিল। একদিন স্থলপথ-বণিক তাহাকে সংবাদ দিল, “ভাই, কাল একজন অশ্ব-বিক্রেতা এই নগরে পাচ শত অশ্ব লইয়া আসিবে।” এই কথা শুনিয়া যুবক ঘেসেড়াদিগকে বলিল, “ভাই সকল, তোমরা প্ৰত্যেকে কাল আমায় এক আট ঘাস দিবে এবং আমার ঘাস বেচা শেষ না হইলে তোমাদের ঘাস বেচিবে না।” ঘেসেড়ারা “যে আজ্ঞা” বলিয়া তাহাই করিল। অশ্ববণিক আর কোথাও ঘাস না পাইয়া যুবকের নিকট হইতে হাজার কাহণ মূল্যে পাঁচ শ, আট ঘাস কিনিয়া লইল । ইহার কয়েক দিন পরে যুবক জলপথ-বণিকের নিকট জানিতে পারিল পট্টনে + একখানি । বড় জাহাজ মাল লইয়া আসিয়াছে। তখন সে আর একটা মতলব অটল। সে কালবিলম্ব না করিয়া দিন ভাড়ায় : একখানি গাড়ী আনিল এবং উহাতে চড়িয়া মহাসমারোহে পট্টনে গিয়া উপস্থিত হইল। সেখানে সে জাহাজের সমস্ত মালের দর ঠিক করিয়া নিজের নামাঙ্কিত অঙ্গুরি দিয়া বায়নাঃ করিল ; পরে তাবু খাটাইয়া তাহার মধ্যে অবস্থিতি করিতে লাগিল এবং অনুচরদিগকে বলিয়া দিল, “কোন বণিক আমার সঙ্গে দেখা করিতে আসিলে তাহাকে যেন একে একে তিনজন আরদালি সঙ্গে দিয়া ভিতরে আনা হয় ।” এদিকে পট্টনে বড় জাহাজ আসিয়াছে শুনিয়া বারাণসীর প্রায় একশত বণিক উহার মাল কিনিবার জন্য সেখানে গমন করিল ; কিন্তু যখন শুনিল কোন মহাজন। একই সমস্ত মাল বায়না করিয়াছেন, তখন তাহারা অনুসন্ধান করিতে করিতে সেই যুবকের শিবিরে উপস্থিত হইল।

  • মুলে “তুণিহারক” এই শব্দ আছে।

পট্টন-বন্দর (port)

  1. মূলে “তাবৎকালিক রথ।” আছে। ইহার অর্থ, যাহা নির্দিষ্ট কালের জন্য অর্থাৎ ঘণ্টা, দিন প্রভৃতি হিসাবে ख्ासृ कब्रा थाम्न ।

$ মুলে ‘সত্যকার” (সত্যস্কার ) এই শব্দ আছে।