পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণ [ ৫৬ ] মনোরথ হন। কুরুক্ষেত্রে জ্ঞাতিনাশ ভয়ে অৰ্জ্জুন যুদ্ধ-রিমুখ হইলে, ইনি তাহাকে নানা উপদেশ দেন। ইহার সেই উপদেশাবলি শ্ৰীমদ্ভগবৎগীতা নামে খ্যাত হইয়াছে। ভারত-যুদ্ধের তৃতীয় ও নবম দিবসে মহাবীর ভীষ্ম কর্তৃক পাওবপক্ষ ধ্বংস প্রায় হইতে দেখিয়া, স্বয়ং তাহার শরে জর্জরিত হইয়া, এবং অৰ্জুনকে পিতামহের সহিত মৃদু যুদ্ধ করিতে অবলোকন করিয়া, কৃষ্ণ ভীষ্মকে নাশ করিতে ধাবিত হন । তখন অৰ্জ্জুন ইহঁাকে শাস্ত করিয়া ফিরাইয়া আনেন। দ্বাদশ দিবসের যুদ্ধে ভগদত্তপ্রক্ষিপ্ত বৈষ্ণবাস্ত্র অর্জু নকে নিযারণ করিতে অসমর্থ জানিয়া স্বয়ং তাহ নিরারণ করেন । কৃষ্ণের পরামর্শে চালিত হইয়া পাণ্ডবগণ যুদ্ধে জয়ী হন। যুদ্ধশেষে অশ্বখাম উত্তরার গর্ভনাশার্থ ব্ৰহ্মাস্ত্র নিক্ষেপ করিলে, কৃষ্ণ সেই শিশু যোগবলে রক্ষা করিয়াছিলেন । কৃষ্ণ অসংখ্য যুদ্ধ করিয়াছেন। কখনও বা স্বজন রক্ষার্থ, কখনও বা দুরা স্মাদিগের অত্যাচার হইতে মুনি ঋষি ও জনগণকে রক্ষা করিতে, ইনি অনেক যুদ্ধে লিপ্ত হইয়াছেন এবং অনেক দুবৃত্তদিগকে নাশ করিয়াছেন। কিন্তু ইনি স্বত প্রবৃত্ত হইয়া কখনও যুদ্ধ করেন নাই। বরং লোকক্ষয়কর যুদ্ধ হইতে কৃষ্ণচন্দ্র নিবৃত্ত থাকিবার নিমিত্ত সতত চেষ্টা করিতেন। কংস, জরাসন্ধ, পঞ্চজন দৈত্য, কালযবন, শিশুপাল, শৃগাল, বাণাসুর, হংসডিম্ভক, নরকামুর, নিকুম্ভ, পৌণ্ডক ইত্যাদি মহাবল পরাক্রান্ত বীরগণ যুদ্ধে কৃষ্ণের নিকট বিধ্বস্ত হইয়াছেন । পরস্পর বিরোধে যদুবংশ ধ্বংস হইলে, কৃষ্ণু দারুককে হস্তিনায় প্রেরণ পূৰ্ব্বক অর্জুনকে বজ্র ও স্ত্রীবৃন্দ রক্ষা করিতে আদেশ করিয়া স্বয়ং বনগমন করেন । পরে যোগাবলম্বনপূর্বক একস্থানে শয়ন করিয়া রহিলেন । ইত্যবসরে জরা নামক এক ব্যাধ মৃগের অঙ্গ ভ্ৰমে ইহঁার পদ শরবিদ্ধ করিল। তাহাতেই কৃষ্ণের দেহত্যাগ হইল । কৃষ্ণের প্রধান প্রধান নাম— দামোদর, হৃষীকেশ, কেশব, মাধব, পুণ্ডরীকাক্ষ, গদাধর,গোবিন্দ, পীতাস্বর, জনাৰ্দ্দন, বনমালী, বিশ্বন্তর, বাসুদেব, ইত্যাদি । (হরি, বিষ্ণু, ভাগবত, মহ ) কৃষ্ণচন্দ্র—নদীয়ার বিখ্যাত রাজা। ইনি খৃষ্টীয় ১৭১০ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। ইহার পিতা রাজা রঘুপতি রায় । বাঙ্গালা, সংস্কৃত, ও পারসী ভাষায় ইনি শিক্ষিত হন। অস্ত্র বিদ্যায়ও বিশেষ পারদর্শী হইয়াছিলেন । কথিত আছে যে