পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»@ዊ পশ্চাৎপদ হন নাই। ঐ পত্রিকার দ্বারা চিরদিন সাম্প্রদায়িক মিলন প্রচার করিয়া গিয়াছেন । কৃষ্ণকুমারের জীবনের একটি প্রধান গুণ ছিল তেজস্বিতা । কোন ও রূপ ভীতি প্রদর্শন তাহাকে কৰ্ত্তব্যচু্যত করিতে পারে নাই। পূৰ্ব্বোক্ত স্বদেশী আন্দোলনের যুগে বরিশালে একবার (১৯০৬) রাজনীতিক সম্মেলন হয়। স্থানীয় শাসন কর্তৃপক্ষ ঐ সম্মেলন হইতে দিতে ইচ্ছক ছিলেন না। এমন কি তাহার, বল প্রয়োগে উহ! ভাঙ্গিয়া দিতে উদ্যত হন । সেই সময়ে সভার অধিবেশন কালে স্থানীয় পুলিশের প্রধান কৰ্ম্মচারী সভাস্থলে উপস্থিত হইয়া বলেন যে অধিবেশন আইন বিগহিত । সুতরাং স্বেচ্ছায় অধিবেশনের কাজ বন্ধ না করিলে বল প্রকাশে উহা ভাঙ্গিয়া দেওয়া হইবে । তখন উপস্থিত সমুদয় ব্যক্তি সভাগৃহ ত্যাগ করেন। কেবল কৃষ্ণকুমার একাকী দৃঢ়ভাবে মঞ্চের উপর বসিয়া রহিলেন। পরিশেষে তাহাকে পুলিশের লোক ধরিয়া বাহিরে আনয়ন করে । তাহার নির্ভিকতা ও সবিশেষ উল্লেখ যোগ্য। তিনি একবার ত্রিপুরার মহারাজের নিকট হইতে সিটি কলেজের সাহায্যের জন্য প্রদত্ত তিন হাজার টাকা সঙ্গে লইয়া নৌকাযোগে গোয়া ভারতীয়-ঐতিহাসিক কৃষ্ণকুমার মিত্র লনো আসিতে ছিলেন । তখন ষ্টীমার ও আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে হয় নাই । পথে ঝড়ে মেঘনায় নৌকাডুবি হয় । কৃষ্ণকুমার পূর্বেই সমুদয় টাকা দৃঢ়. ভাবে কোমরে বাধিয়া নদী সাতরাইয়া ফরিদপুরে উপস্থিত হন । তথা হইতে এক বস্ত্রে পদব্রজে গোয়ালন্দ গমন করেন এবং গোয়tলনো হইতে রেল যোগে কলিকাতা প্রত্যাবর্তন করেন । অতি অল্প বয়সেই ময়মনসিংহ न5:ब्ल झोछ। दर्ुग्न १ोकिदाङ्ग गम८ग्न তিনি ময়মনসিংহ নগরে কেশবচন্দ্রের বক্তৃতা শ্রবণ করেন। ময়মনসিংহে ব্রাহ্মসমাজ স্থাপিত হইলে, তিনি তাহার সভ্য হন । তৎফলে তাহার অভিভাবকগণের উপর উৎপীড়ন হুইবার আশঙ্কায় তিনি দীর্ঘকাল বাড়ীর বাহিরে কলাপাতায় আহার করিতেন। ব্রাহ্মসমাজের সহিত র্তাহার যোগ ক্রমশঃই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় । তিনি অকৃত্রিম ধৰ্ম্মভাব, ধৰ্ম্মপ্রচারে অদম্য উৎসাহ, উদার প্রকৃতি, পরোপকারিতা, অন্যায়ের ও ছনীতির প্রতি প্রবল ঘৃণা প্রভূতি মহৎগুণের জন্ত ক্রমশঃ ব্রাহ্মসমাজে নেতৃপদ লাভ করেন । আজীবন তিনি প্রাণীপেক্ষ প্রিয় ব্রাহ্মসমাজকে সৰ্ব্বপ্রকারে নিঃস্বার্থভাবে সেবা করিয়া গিয়াছেন। ব্রাহ্মসমাজে তাহার প্রতিষ্ঠা অসাধারণ ছিল বলিলেও