পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিরিশচন্দ্র রাজা গোবিনালাল রায় সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন। গোবিন লাল রায়, রাজা দেখ । গিরিশচন্দ্র ঘোষ ( ১ ) বাঙ্গাল দেশের ইংরাজি শিক্ষার প্রথম যুগের খ্যাতনামা সাংবাদিক | ১২৩৬ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে কলিকাত সহরে তাহার জন্ম হয়। তাছাদের পূর্ব নিবাস নদীয়া জিলায় ছিল। র্তাগর পূৰ্ব্ব পুরুষদের অনেকে নদীয় রাজ সরকারে উচ্চ রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিলেন , গিরিশ চন্দ্রের বাল্য শিক্ষা প্রধানতঃ প্রসিদ্ধ ওরিয়েণ্টtল সেমিনারীতেই (Oriental Seminary ) = H | fsf sifs»ļā মেধাবী ছাত্র ছিলেন । র্তাহার অপর দুই তাইও ঐ বিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র ছিলেন এবং ইংরেজী ও ফরাসী এই দুই পাশ্চাত্য ভাষায় তাহীদের বিশেয অধিকার छग्निोझ्दिा । মাত্র পনের টাকা বেতনের একট কেরাণীর কাজ লইয়া গিরিশচন্দ্রের কৰ্ম্মজীবন আরম্ভ হয়। কিন্তু কৰ্ম্মদক্ষতা ও পরিশ্রমশীলতার গুণে ক্রমশঃ উন্নতি লাভ করিতে করিতে তিনি উচ্চ পদ লাভ করেন। দেশবিখ্যাত হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায় মহাশয় ঐ সময়ে তাহার সহকৰ্ম্মী ছিলেন এবং উভয়ের মধ্যে অকৃত্রিম প্রীতি ও সৌহার্দের বন্ধন ছিল । ছাত্র অবস্থাতেই সংবাদপত্রে প্রবন্ধাদি রচনা বিষয়ে তাহার বিশেষ জীবনী-কোষ \988 অগ্ৰিছ ছিল। ঐসময়েই গিরিশচন্দ্র ও র্তাহার অপর কয়েকজন সহাধ্যায়ী মিলিত হইয়া একখানি হস্তলিখিত পত্রিকা প্রকাশ করেন কৰ্ম্মজীবনে প্রবেশ করিয়৷ কাণী প্রসাদ ঘোষ সম্পদিত ‘হিন্দু ইণ্টেলিজেন্সার’ ( The Hindu Intelligencer), totabæ বসু সম্পাদিত “লিটারীরী ক্রনিকেল { Literary Chronicle ) প্রভৃতি সাময়িক পত্রিক দিতে প্রবন্ধ লিখিতেন । গিরিশচন্দ্রের অন্যতম অগ্রজ শ্ৰীনাথ ঘোষ যখন বেঙ্গল রেকর্ডার নামে একখানি পত্রিক প্রকাশ করেন (১৮৫০ খ্ৰী: ) তখন তিনি ঘনিষ্ট ভালে উক্ত পত্রিকার সহিত সংশ্লিষ্ট ছিলেন । কিছুকাল পরে উহা বন্ধ হইয়া যায়। তাহার কিছু পরে ‘হিন্দু পেটিয়ট’ ( The Hindoo Patriot ) elfă și zi șiferă g গিরিশচন্দ্র ও র্তাহার অপর দুই ভ্রাতা প্রথমাবধি উহার সহিত বিশেষভাবে যুক্ত ছিলেন। তিন বৎসর পরে উক্ত পত্রিকার সম্পাদন ভার হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের হস্তে অপিত হয়। কিন্তু গিরিশচন্দ্র উহার একজন নিয়মিত লেখক ছিলেন । হরিশ্চন্দ্রের মৃত্যুর পর কিছুকাল গিরিশচন্দ্র উহার পরিচালনার ভার গ্রহণ করেন। ঐ সময়ে শম্ভুচন্দ্র মুখোপাধ্যায় মহাশয় এই কাৰ্য্যে তাহার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। কয়েক বৎসর পর ঐ পত্রিকার কর্তৃত্ব ভার