বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-কোষ—ভারতীয় পৌরাণিক । জন্ত তথায় গমন করেন । ভরতের মুখে পিতার মৃত্যু সংবাদ শুনিয়া রাম আতিশয় কাতর হইয়া পড়েন । কিন্তু কৌশল্য, ভরত বা বশিষ্ঠ ইহঁদের কাহারও অনুরোধে তিনি অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন করিতে সম্মত হইলেন না । তখন ভরত অনন্তোপায় হইয়া রামের পাদুকাযুগল চাহিয়া লইয়া স-পরিজন পুনরায় অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন করিলেন । ( ভরত দেখ ) ভরতের প্রত্যাগমনের পর, রাম কিছুদিন তথায় অবস্থান করেন। তখন তিনি সংবাদ পাইলেন যে, কতিপয় নিশাচর তৎস্থানবাসী তপসদিগের উপর বিশেষ উৎপীড়ন আবন্ত করিয়াছে। ঋষিগণ তখন রামকে সাবধানে থাকিতে উপদেশ দিয়া অন্যত্র গমন করেন । তাহার কিছুদিন পর তাহারা চিত্রকূট পরিত্যাগ করিয়া আরও গভীরতর অরণো প্রবেশ করিলেন । (রামাঅযো ৯৩, ৯৬, ৯৮-১১৯) । সেই অরণ্যের নাম দণ্ডকারণ্য | তথায় গমন করিবাব অল্পকাল পরেই, একদিন বিরাধ নামক এক রাক্ষস সীতাকে হরণ করিবার প্রয়াস পায় । রাম ও লক্ষ্মণ ঘোরতর যুদ্ধ করিয়া তাহাকে বধ করেন। তৎপরে তথা হইতে তাহারা শরভঙ্গ মুনির আশ্রমে এবং তৎপরে শরভঙ্গ মুনির পরামর্শে সুতীক্ষ ঋষির স্বাশ্রম গমন করেন। ף • 4 כי অতঃপর কিছুদিন পরে অগস্ত্য মুনির সহিত রামের সাক্ষাৎ হয়। অগস্ত্য তাহাদিগকে সমুচিত সমাদর করিয়া, নিকটবর্তী পঞ্চবটী রনে যাইয়া বাস করিতে পরামর্শ দিলেন। তদনুযায়ী তাহারা সকলে পঞ্চবটী বনে যাইয়া বাস করিতে লাগিলেন। ঐ পঞ্চবটা বনে গমনকালেই পথিমধ্যে জটায়ুর সহিত তাহাদের সাক্ষাৎ হয়। ঐ পঞ্চবটী বনে বাস করিবার সময়ে রাবণের ভগিনী স্থপণখা রামকে দেখিয়া তাহাকে বিবাহ করিতে ইচ্ছা প্রকাশ করে। রাম পরিহাস করিয়া বলেন যে, তিনি যখন বিবাহিত তখন স্থপণখাকে বিবাহ করা তাহার পক্ষে সম্ভব হইবে না । তবে ত"হার ভ্রাতা লক্ষ্মণ অবিবাহিত। স্বৰ্পণখা তাহাকেই বিবাহ করিতে পারে। সূৰ্পণখা রামের পরিহাস বুঝিতে না পারিয়া, লক্ষ্মণের সমীপে গমন করে । লক্ষ্মণও তাহাকে পরিহাস করিয়া রামকে বিবাহ করিতে পরামর্শ দেন। তখন স্থপণখা, সীতার জন্তই রাম তাহাকে বিবাহ করিতে সন্মত হইতেছেন না দেখিয়া, সীতাকেই ভক্ষণ করিতে চেষ্টা করে। তখন লক্ষ্মণ রামের আদেশে তাহার নাসা ও কর্ণ ছেদন করিয়া দিলেন । সুৰ্পণখা ছিন্ন-নাসা-কর্ণ হইয়া চীৎকার করিতে করিতে জনস্থানবাসী খর ও দূষণ নামক দ্রাতৃদ্বয়ের নিকট গমন করে । খর