পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S oR তৃণান্ধুর সেই বেদেদের তাবুর ছোট গৰ্ত্তটা, সেখানে সেদিনও আকন্দ ফুলের শোভা দেখতে গিয়েচি-রাজনগরের বটতলাটা সন্ধ্যাবেলায় এক বেড়িয়ে এসেচি আর ভেবেচি এসব জায়গা কত নিরাপদ, কত নিরীহ-হঠাৎ এক সপ্তাহের মধ্যে গালুডির বাংলোর পিছনে বনে লিখচি-রাণীঝর্ণা, নেংড়া সব দেখা হয়েই গেছে। রাখমাইনসে দুরাত্রি যাপন করে এলাম। কিন্তু একটা দেখলাম ব্যাপার। এসব স্থানে সঙ্গী নিয়ে আসতে নেই। একা থাকলে নিজের মন নিয়ে থাকা যায়। তখন নানা অদ্ভুত চিন্তা, অদ্ভুত ভাব এসে মনে জোটে। কিন্তু সঙ্গীরা থাকলে তাদের মন আমাকে চালিত করে- আমার মন তখন আর সাড়া দেয় না, কেমন গভীর অতল তলে লাজুক তার মুখ লুকিয়ে থাকে। কাজেই সঙ্গীদের চিন্তা তখন হয় আমার চিন্তা-সঙ্গীদের ভাব তখন হয় আমার ভাব, আমার নিজস্ব জিনিস সেখানে কিছু থাকে না। কাল সুবর্ণরেখার পারের সূৰ্য্যাস্তের দৃশ্যটা, কিংবা গভীর রাত্রের জ্যোৎস্নায় মহুলিয়ার প্রান্তরের ও নেকড়েডুংরী পাহাড়ের সে অবাস্তব সৌন্দৰ্য্য, একা থাকলে এসব দৃশ্যে আমার মন কত অদ্ভূত কথা বলতো-কিন্তু কাল শুধু আডা দেওয়া এবং চা খাওয়াই হোলমন চাপা পড়ে রইল বটে, অর্থহীন প্ৰলাপ বকুনির তলায়, সম্মিলিত সিগারেটু ধূমের কুয়াসার আড়ালে। তাই বলচি এসব স্থানে আসতে হয় একা। লোক নিয়ে আসতে নেই। আজই এখান থেকে যাবো। এখনি বলরাম সায়েরের ঘাটে নেয়ে আসবো-অনেকদিন পরে ওতে বড় আনন্দ পাবো। দূরে কালাঝোরি পাহাড়, চারি ধারে তালের সারি, স্বচ্ছ শীতল জল-দীঘিটা আমার এত ভাল লাগে । শালবনে নতুন কচি পাতা গজিয়েচে। দূরে কোথায় কোকিল ডাকচে কালাঝোরি পাহাড়ের দিকে। এত ভাল লাগচে সকালটা ! খুড়োদের ছাদে বসে লিখচি। গ্রীষ্মাবকাশে বাড়ী এসেচি। এবার গালুডিতে অনেকদিন থেকে আমার যেন নতুন চোখ খুলেচে, গাছপালার বৈচিত্র্য ও প্ৰাচুৰ্য্য। এবার বেশী করে চােখে পড়চে। সমস্ত প্ৰাণটা যেন একটা পার্ক-আমার বাড়ীতে কোনো গাছ থাকুক। আর নাই থাকুক, সারা গ্রাম এমন কি কুঠার মাঠ, ইছামতীর দুই তীর, শ্যামল বঁাশবনMDBB BDDDDD SS DDD BBBS BDB BDD DBBYSLiDBDBD BD D DBB