পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণেন্দু ছেলেদের জিজ্ঞাসা করল, “তোমাদের দল কোনটা ?” “এই এটা। আরও কয়েকজন আছে, তারা আসতে পারে নি।” গায়ের পনের ষোলটি কিশোর ও তরুণকে নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ করার সে এক বিচিত্র ও গৌরবময় কাহিনী। অনাথ আর সহদেবেরই গৌরব, তারাই দলটাি গড়েছে। আশে কিছুই ছিল না ঝুমুরিয়ায়। নমো নমো করে একটিমাত্ৰ বারোয়ারী পূজো হত, সভাসমিতি, খেলাধুলার ব্যবস্থা, লাইব্রেরী, নাইটস্কুল, কিছুই ছিল না। এরা সব কিছু গড়ে তুলেছে। বছরে এখন পাঁচ ছ’টি পূজা পাৰ্বণ উপলক্ষে উৎসব হয়, দুৰ্গাপূজায় এত সমারোহ হয় যে আশেপাশের সব গ্ৰাম হার মেনেছে। সদর থেকে বিখ্যাত ব্যক্তিদের আনিয়ে মাঝে মাঝে"। গায়ে এরা সভা করায় । হেরম্বের কাছ থেকে একটি খেলার মাঠ আদায় করেছে, তাদের টিম এবারে সদরে কাপ খেলায় প্রথম রাউণ্ডে জিতেছিল। পালা করে এরা পাহারা দেওয়ায় গায়ে এখন আর চুরি হয় না। নাইট স্কুলে চাষাভূষাদের পড়ায়। অসুখবিসুখে সেবা করতে যায় । জঙ্গল সাফ করে, মশা নষ্ট করে, আরও কত কি যে তারা করে छिंगांत श्ध न । “আগে কিছুই ছিল না। কৃষ্ণেন্দু বাবু। সব আমরা করেছি।” DDBD S BDBBDLDS BD SYS DBDBBS DDS ছেলেদের নিয়ে। কাজ তারা কিছুই করে না, অনাথদের দলের সঙ্গে শুধু শক্রিতা করে আর তাদের টিটকারী দেয়। কৃষ্ণেন্দু বলল, “এই ব্যাপার ? তা, তোমাদের ভিলেজ পলিটিকস, নিয়ে মাথা ঘামাবার সময় আমার নেই ভাই। হেরম্ববাবু বড় বাড়াবাড়ি আরম্ভ করছেন, তার একটা বিহিত করতে আমি এসেছি। আমি কোন দলে নই। তোমাদের দলেও নয়, মোহনলালের দিলেও নয়। কাল কোন দলের প্রশেসন হবে না, গায়ের লোকের প্রতিবাদের প্রশেসন হবে। SO“)