পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাছে দরবার করতে না যায়। অপমানে অভিমানে মাথা বিম বিম করে উঠেছে রামপালের। এ নিষ্ঠুর অবিচারের মনে সে বুঝতে পারে নি। একেবারে সুরু করা থেকে, সকলের ১ হতে উমাপদর খুন হয়ে যাওয়া নিবারণ করা থেকে, এ ব্যাপারটা সে নিয়ন্ত্রণ করে আসেনি এ পৰ্য্যন্ত ? একমাত্র সেই কি হাজতে যায় নি এ ব্যাপারে ? কেন তবে তাকে বাদ দেওয়া হবে ? যে কাজ সে আরম্ভ করেছে। কেন তা শেষ করতে দেওয়া হবে না ? রামপাল অনুরোধ জানিয়েছে, আরেকবার তাকে সুযোগ দেওয়া হোক। কেউ কানে তোলে নি । রামপাল উত্তেজিত হয়ে প্ৰতিজ্ঞা করেছে লোকনাথকে পটাতে না পারলে সে বাড়ীর মধ্যে ঢুকে উমাপদকে মেরে আধমরা করে দশ বছর জেল খাটবে। তার আস্ফালনে কেউ বিশ্বাস করে নি, অনেকে টিটকারি দিয়েছে। শ্ৰীপতি তাকে জানিয়ে দিয়েছে, পরদিন কৃষ্ণেন্দু আসছে, যা করবার সেই করবে, রামপালের আর বাহাদুরী করবার দরকার নেই। সে কেরামতি দেখিয়েছে অনেক, আর না দেখালেও চলবে। তখন রামপাল ক্রুদ্ধ ও বিমর্ষ হয়ে চুপ করে গেছে। খানিক পরে নীরবে উঠে চলে গেছে আসর ছেড়ে । শ্ৰীপতি ও গণি কৃষ্ণেন্দুদের আনতে ষ্টেশনে এসেছিল। দিনটা সুরু হয়েছে বাদলায় । কাঠগোলার কাছে মিস্ত্রী ও করাতিরা অপেক্ষা করছিল। ষ্টেশন থেকে সেখানে যাবার পথে ট্যাক্সিতে শ্ৰীপতি সব জানাল। তাকে প্রশ্ন করল। মমতা । কৃষ্ণেন্দু প্ৰায় আগাগোড়াই নির্বিবকার ভাবে শুনে গেল। মমতা আগেই তাকে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে বারণ করে দিয়েছিল। রামপালের সম্বন্ধে সে কেবল কয়েকটি প্রশ্ন করল। উমাপদকে রামপাল সকলের আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছিল শুনে সে যেন ভারি 'আশ্চৰ্য্য হয়ে গেছে মনে হল • শ্ৰীপতি এই তুচ্ছ ঘটনাটি উল্লেখ করাও দরকার মনে করে নি, কিন্তু 8V)