পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S&N) দিবরাত্রির কাব্য দূরবীণের দৃশ্যপটের মত ঝাপসা হয়ে ছিল, এতক্ষণে ফোকাস ঠিক হয়ে সব উজ্জ্বল ও স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। পৃথিবীতে সে যে এক নয়, শোণিত-সুর-সন্তপ্ত হৃদয় নিয়ে জীবনের চিরন্তন ও অনভিনব সুখদুঃখে৷ বিচলিত অসংখ্য নরনারী যে তাকে ঘিরে আছে, এই অনুভূতির শেষ পৰ্য্যায়ে জীবনের সাধারণ ও বাস্তব ভিত্তিগুলির সঙ্গে হেরম্বের নূতন করে পরিচয় হয়। সুপ্রিয়া হয়ে থাকে এই পরিচয়ের মধ্যবৰ্ত্তিনী কান্তা, রৌদ্রতপ্ত দিনের ধূলিরুক্ষ কঠোর বাস্তবতায় একটি কাম্য পানীয়ের প্ৰতীক । কোন দিন বাইরে প্রবল বর্ষা নামে । মন্দির ও সমুদ্র জীবন থেকে BBuBD DD BDBD DSS DBBB DDD DDD BDK BDBDBB BDBB আনন্দ ঝিনুকের রাশি গোণে এবং বাছে, ডান হাত আর বঁা হাতকে প্ৰতিপক্ষ করে খেলে জোড়-বিজোড় । দেয়ালে ঠেস দিয়ে বসে হেরম্ব চুরুট খায় আর নিরানন্দ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আনন্দের খেলা চেয়ে দেখে। এই বিরহ-বিপন্ন বিষন্ন মুহুৰ্ত্তগুলিতেও তার যে দৃষ্টির প্রখরতা কমে যায় তা নয় । আনন্দের স্বচ্ছ প্ৰায় নখের তলে রক্তের আনাগোনা তার চােখে পড়ে, অধরোষ্ঠের নিগুঢ় অভিপ্ৰায়ের সে মৰ্ম্মোদঘাটন করে, কপালে ছেলেখেলার হারজিতের হিসাবগুলিকে গোণে ।। ঘরের আলো বর্ষার “মেঘে স্তিমিত হয়ে থাকে । আনন্দ শ্রান্তস্বরে বলে, “কি বৃষ্টিই নেমেছে। সমুদ্রটা পৰ্য্যন্ত বোধ হয় ভিজে গেল।”