পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ Ω Σ দিবারাত্রির কাব্য ফেললে যেমন দেখায় । এ বিষয়ে অশোকের নিজের কৌতুহল বোধ হয় এখনো যায় নি, হাতটা চোখের সামনে ধরে সে কাটা আঙ্গুলের গোড়া দু’টি পরীক্ষা করে নিল । বলল, “একজন ছোরা মেরে উড়িয়ে ff(3Çz i” “ছোরা, অশোক ?” “উহু, দেশী দা, ভয়ানক ধার। আটকাতে গিয়ে আঙ্গুল দুটো উড়ে গেছে | উড়ে যাওয়া উচিত ছিল মাথাটার, কেন যে গেল না ভাবলে মাথাটা আজও গরম হয়ে ওঠে !” সুপ্রিয়া বলল, “মাথা গরম করে আর কাজে নেই। দোষ তো তোমার । থানা ভরা সেপাই জমাদার, তবু নিজে ডাকাতের সামনে পালা এগিয়ে দেবে, বিবেচনা তো নেই ।” অশোক নিৰ্ম্মম ভাবে হাসল। বলল, “বিবেচনা করেই গলা বাড়িয়ে দি তাম, কৰ্ত্তব্যের খাতিরে। তুমি যা ভেবেছিলে তা একেবারেই সত্য -ଣ୍ଣ ।' ‘আমি কিছুই ভাবি নি।” “ভাব নি ? তবে যে ডাকাত ধরতে গেলেই বলতে জেনে-শুনে প্ৰাণটা দিতে যাচ্ছি নিজের, খুন হতে যাচ্ছি সাধ করে? অমনি করে অমঙ্গল ডেকে আনতে বলেই তো আঙ্গুল দুটো আমার গেল!” সুপ্রিয়া বিবৰ্ণ মুখে বলল, “কি সব বলছ তুমি ? চুপ কর।” হেরম্ব এতক্ষণে ভেতরে ভেতরে রেগে আগুন হয়ে উঠেছে। মানুষকে ব্যঙ্গ করার যে ধারালো ক্ষমতা সে প্ৰায় পরিত্যাগ করেছিল এবার তাই সে কাজে লাগাল ।