পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○○ দিবরাত্রির কাব্য শ্ৰান্তি বোধ করল। দুঃখ বিষাদ বা আত্মগ্লানি নয়, শুধু শ্ৰান্তি । সুপ্রিয়ার প্রত্যাবর্তনের আগে এই বাড়ী ছেড়ে, আনন্দের সঙ্গে দেখা হবার আগে পুরী থেকে পালিয়ে, চিরদিনের জন্য নিরুদ্দেশ যাত্রা করতে পেলে সে যেন এখন বেঁচে যায়! হেরম্বের ঘুম আসে,-এক সদয় দেবতার আশীর্বাদের মত । সে চোখ বোজে। একটা ব্যাপার সে বুঝতে পেরেছে। আনন্দের বিষন্ন, বিরস প্রহরগুলির জন্ম-ইতিহাস । আর এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, যে কারণে না মরে তার আর পুনর্জন্ম সম্ভব নয়, সেই কারণেই তার ক্ষয়-পাওয়া হৃদয়েরও পুনরুজ্জীবন অসম্ভব হয়ে গেছে। তার জীবনে প্ৰেম এসেছে অসময়ে। প্রেমের সে অনুপযুক্ত। বসন্ত-সমাগমে অৰ্দ্ধমৃত তরুর কতগুলি পল্লব কুসুমাস্তীর্ণ হয়ে গেছে বটে, কিন্তু কত শুষ্ক শাখায় জীবন নেই, কত শাখার বল্কল পিপীলিকা-বাস-জীর্ণ। তার অকাল-বাৰ্দ্ধক্যের সঙ্গে আনন্দের অহরহ পরিচয় ঘটে, আনন্দের কত খেলা তার প্ৰিয় নয়, আনন্দের কত উল্লাস তার কাছে অর্থহীন। আনন্দ তা টের পায়। কত BDD BB BDBBDD BB BBDD K DS D DD KD D BDBDDS DDBSDDD সাড়া । আনন্দ বিমর্ষ হয়ে যায়। মনে করে, হেরম্বের প্ৰেম বুঝি মারে যাচ্ছে। হেরম্বের প্ৰেমই যে দুর্বল এখনো সে তা টের পায় নি । সুতরাং আনন্দকেও সে ঠকিয়েছে। জীৰ্ণবিশিষ্ট যৌবনের সবখানিই প্ৰায় তাকে ব্যয় করতে হয়েছে আনন্দকে জয় করতে, এখন তাকে দেবার তার কিছু নেই। একথা তার জানা ছিল না যে, পরিপূর্ণ প্রেমের অনন্ত দাবী মেটাবার ক্ষমতা আছে একমাত্র অবিলম্বিত, অনপচয়িত, সুস্থ ও শুদ্ধ যৌবনের। অভিজ্ঞতায় প্রেমের খোরাক নেই, মনস্তত্ত্বে