পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য Գo

  • }° খুব আশ্চৰ্য্য না ব্যাপারটা? কুঁসির কথা পড়লে কিম্বা শুনলে মানুষ হাসবে,-কেউ হাসাবে তবে । হাসবার মত কিছু হাতের কাছে না। থাকলে কেউ মরলেও হাসতে পারবে না । হাসির উপলক্ষটা সব সময় থাকবে বাইরে, আবার তা থেকে তার নিজেকে বাদ থাকতে হবে । এসব কথা ভাবলে আমি একেবারে আশ্চৰ্য্য হয়ে যাই । হাসি এমন ভাল জিনিষ, নিজের জন্য কেউ নিজে তা তৈরী করতে পারবে না ! সাধে কি মানুষ দিনরাত মুখ গোজ করে থাকে। মাঝে মাঝে একটু একটু না হেসে মানুষ যদি সব সময় হাসতে পারতো !”

মালতী বলল, “তোর আজ কি হয়েছে রে আনন্দ ? এত কথা কইছিস যে ?” আনন্দ বলল, “বেশী কথা বলছি ? বলব না ! তোমরা থাকবে ষে যার তালে, চুপ করে থেকে আমার এদিকে কথা জমে জমে হিমালয় পাহাড় ! সুযোগ পেলে বলব না বেশী কথা ?” “তুই আজ নিশ্চয় চুরি করে কারণ খেয়েছিস ।” “ন গো ন', চুরি করে ছাইপােশ খাবার মেয়ে আমি নই। মনের স্মৃত্ত্বির জন্য আমার কারণ খেতে হয় না।” হেরাম্বের কাছে এইটুকু গৰ্ব প্ৰকাশ করেই আনন্দ বোধ হয় নিজেকে এত বেশী প্ৰকাশ করা হয়েছে বলে মনে করে যে, কিছুক্ষণের জন্য মালতীর দেহের আড়ালে নিজেকে সে প্রায় সম্পূর্ণ লুকিয়ে ফেলে। অথচ এ