পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবস্থায় কোথাও ষোতে দিতে পারব না ?-এই সেই মাঠ, সেই নীলাকাশ, মাঠের মধ্যে দ্বারবাসিনীর কামাবদের কাটানো বড় দীঘিটাr সবই সেই আছে-কিন্তু মালতীব মুখের একটি কথায় সব এত সুন্দর, এত অপরূপ, এত মধুময় হয়ে উঠল। কেন ? ঠিক সেই অদ্ভুত রাত্রিটির মতা-মাঠের মধ্যে নির্জন নদীব ধারে শুয়ে যেমন হয়েছিল সেদিন। অনুভূতি হিসেবে দুই-ই এক। কোন প্ৰভেদ নেই দেখলুম। কোথা সেই বিরাট দেবতা, আর কোথায় এই মালতী । তারপর দিন-কতক ধরে মালতীর সঙ্গে কি জানি কেন আমার প্রায়ই দেখা হয়। সমস্যা অসমযে, কারণ্যে-অকারণে ও আমার সামনে যখনই এসে পড়ে কিংবা কাছ দিয়ে যায়, দাঙি দুটো কথা না ব’লে যায় না । হয়ত অতি তুচ্ছ কথা-বসে আছ, সামনে দিযে যাব”বু সময় ব’লে গেল-বসে আছেন ? এ-কথা বলবাব কোন প্রয়োজন নেই-কিন্তু সারাদনে ; এই টুকবো টুকরো অকারণ কথা, একটুখানি হাসি, কৃত্রিম শ্লেষ, কখন-বা। শুধু চাহান--- এর মধ্যে দিযে। ওর কাছে আমি অনেকটা এগিয়ে যাই-ও আমাব কাছে এগিযে আসে এতে ক’বে বুঝি ও আমার আস্তিত্বকে উপেক্ষা ক’বে চলতে পাবে না-ও আমাৰ সঙ্গে কথা ব’লে আনন্দ পায় । " বিকেলে যখন ওর সঙ্গে এক-এক দিন গল্প করি, তখন দেখি ওর মনের চমৎকার একটি সজীবতা আছে। নিজে বেশী কথা বলতে ভাষাবাসে না-কিন্তু শ্রোতা হিসাবে সে একেবালে প্ৰথম শ্রেণীর। যে-কোন বিষয়ে ওর কৌতুহল জাগানো যায়-মনেল দিক থেকে সেটা বড় একটা গুণ। এমনভাবে সকৌতুহল ডাগর চোখ দুটি তুলে একমনে সে শুনবে-তাতে যে বলছে তার মনে আরও নতুন নতুন কথা যোগায়, ওকে আরও বিস্মিত করবার ইচ্ছে হয়। মালতী বড় চাপা মেয়ে কিন্তু-এতদিন পরে হঠাৎ সেদিন উদ্ধবের মুখে শুনলাম যে ৪ বেশ সংস্কৃত জানে। ওর বাবার এক বন্ধু ত্ৰিগুণাচরণ কাব্যতীর্থ নাকি শেষ বয়সে এই আখডাশ ছিলেন, এইখানেই মারা যান। তঁর কেউ ছিল না-মালতীব বাবা তখন বেঁচে-তিনিই MgD DLDBDS S SBLBD BBDDS SSiiSttLOBBDBBB DDD S DDDBB BBSuDt DDDB DBDDD পড়েছিল । মালতীকে জিজ্ঞেস করতেই মালতী বললে-এখন আবি ওসব চর্চা নেই, ভুলে গিযেছি। সামান্য একটা ধাতুর রূপও মনে নেই। তবে রঘুর শ্লোক অনেক মুখস্থ আছে, যা যা ভাল লেগেছিল তাই কিছু কিছু মুখস্থ করেছিলাম, সেইগুলো ভুলি নি। তবে সহজ ভাষ৷ যদি হয়, পড়লে মানেটা খানিকটা বুঝতে পারি। সে এমন কিছু হাতী-ঘোড়া নয! উদ্ধবজ্যাঠা আবার তাই আপনাকে গিয়েছে বলতে-উদ্ধব-জ্যাঠার যা কাণ্ড । বৈষ্ণব-ধৰ্ম্মের আবহাওয়ায় মানুষ হয়েছে বটে, কিন্তু ও নিজে যেন কিছুই মানে না-এই ভাবের। কখনও কোনও পূজা-অৰ্চনা ওকে করতে দেখি নি, এক ওর বাবার বিষ্ণুমন্দিরে SV98