সুজাখাঁর প্রাসাদ ত বেশী দূরে নয়। একবার দেখিয়া গেলে হয় না কি?”
তাহার মনে বড়ই একটা সংকোচময় লজ্জার ভাব উপস্থিত হইল। কিন্তু আনারকে দেখিবার একটা অতি প্রবল বাসনা, এই সংকোচকে মাঘের কুয়াসার মত তখনই উড়াইয়া দিল।
সে নবাব সুজাখাঁর ভবনের উদ্দেশে চলিল। বাড়ীর নিকটস্থ হইবামাত্রই, ভবিতব্য প্রেরণায়—জুমেলির সহিত তাহার দেখা হইল। জুমেলি তখন সংসারের একটী ফরমায়েস লইয়া বাহিরে যাইতেছে।
মীর লতিফ প্রথমতঃ অর্দ্ধাবগুণ্ঠিতা এই জুমেলিকে চিনিতে পারেন নাই। কিন্তু জুমেলি তাহাকে দেখিবামাত্রই স্থির হইয়া দাঁড়াইয়া, অবগুণ্ঠন মোচন করিয়া বলিল—“বন্দেগি! জনাব মীর লতিফ সাহেব! লাহোর হইতে আপনি কবে ফিরিলেন?” মীর লতিফ জুমেলিকে দেখিয়া খুব সুখী হইল। সে মনে মনে ভাবিল—খোদা তাহার সহায়। তাহা না হইলে এই জুমেলি সহসা তাহার সম্মুখে আসিয়া পড়িবে কেন?
মীর লতিফ সহাস্য মুখে বলিল— “ভাল আছ ত জুমেলি? তোমার বিবি ভাল আছেন ত? বোধ হয় তোমরা আমার কথা একবারে ভুলিয়া গিয়াছ।”
জুমেলি সহাস্য মুখে বলিল— “না—সাহেব! তা নয়! আপনার মত লোককে ভুলিয়া যাওয়া সহজ কাজ নয়। কালই