পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

lo/o দাড়াইলেন। হৃদয়ের অসাধারণ প্যাপ্তি, প্ৰাচুৰ্য না থাকিলে এরূপ কেহ কখনও করিতে পারে ? আর এরূপ বিশালতা না থাকিলে কেহ কখনও বড় হইতে পারে ? \gυ কাব্য আলোচনা করিতে করিতে তিনি অনেক সময় বলিতেন “রবিবাবুর কবিতায় প্রাণের আবেগ (passion) নাই, ইহাই উহার প্রধান দোেষ।” কথাটা বোধ হয় ঠিক নয়, অন্ততঃ ইহা লইয়া তাহার সহিত আমার অনেক তর্ক হইত। কিন্তু তিনি কেন একথা বলিতেন তাহা কতকটা ধরিতে পারি। তঁহার প্রকৃতি এমনই আবেগময় ছিল যে, সে আবেগের তুলা-রূপ প্ৰকাশ তিনি সচরাচর কবিতায় বা সাহিত্যে দেখিতে পাইতেন না। কাজেই বর্তমান যুগের বাঙ্গালী কবিতা তাহার কাছে passionless (ফিকে) বলিয়া বোধ হইত। তিনি প্ৰাণের প্রকৃত শান্তি, চিত্তের পরম সুখ পাইতেন বাঙ্গালার বৈষ্ণব কবিতায়। 8 ব্যারিষ্টারী ব্যবসাতেও চিত্তরঞ্জনের একটা বড় বৈশিষ্ট ছিল। গুরু আইন জ্ঞানে তঁহার অপেক্ষা বড় ব্যারিষ্টার বা উকিল কলিকাতা হাইকেটে অনেক ছিল, এখনও হয়ত আছে। কিন্তু এমন অসামান্য একাগ্ৰতা, মক্কেলের কাজকে এমন একেবারে নিজের কাজ বলিয়া জানা আর কাহারও দেখিয়াছ বলিয়া মনে হয় না । মোকদ্দমায় মন বসিয়া গেলে তিনি যেন