পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিদ্যন্তে সর্বসংশয়াঃ । SdGd বাক্যের সমষ্টি ; কবির অতুক্তি মাত্ৰ। অভিজ্ঞতাহীন মানুষ সে গুলিকে পাঠ করিয়া মনে করে, যে ভাবের উচ্ছাসের সময়ে মানুষ অনেক কথা বলিয়া থাকে, যাহার মধ্যে সত্যতা থাকে না, ঐ সকল উক্তি ও তদ্ধাপ ; শুনিতে বেশ, বলিতে বেশ, কাজে করিবার জন্য নহে । কিন্তু যাহার নিজের অভিজ্ঞতা আছে, তিনি ঐ সকল বাক্যের সত্যতা ও গুরুত্ব অনুভব করিয়া চমকিত হইয়া যান। দৃস্টান্ত স্বরূপ স্বদেশ বিদেশের শাস্ত্ৰ হইতে কয়েকটা বচন উদ্ধত কর। যাইতে পারে। উপনিষদের একস্থানে উক্ত হইয়াছে ৪ - ক্ষুব্বাস্থ্য ধারা নিশিতা দুরত্যায়! দুৰ্গম্পথ্যস্ত হৎ কবয়ে বদন্তি!” অ হাঁ—পণ্ডিতেরা এই ধৰ্ম্ম-পথকে শাণিত ক্ষুরধারার ন্যায় দুৰ্গম বলিয়াছেন।” যে ব্যক্তির এই দুৰ্গমতার কিছুই অভিজ্ঞতা। নাই, যে কখনও পাপ প্ৰলোভনের মধ্যে আ তু সংযমের প্রয়াস পায় নাই, আপনার উচ্ছঙ্খল প্রকৃতিকে শাসিত ও শৃঙ্খলিত করিবার চেষ্টা করে নাই, নানা প্ৰকার বিল্প ও প্ৰতিকূলতার মধ্যে জীবনের কৰ্ত্তবা সাধনের জন্য দৃঢ়-প্ৰতিজ্ঞ হয় নাই, কাম ক্ৰোধের উত্তেজনার সহস্ৰ কারণের ভিতরে কাম ক্রোধকে স্ববশে রাখিবার জন্য সংগ্রাম করে নাই, সে বসিবে ইহ। কবির অত্যুক্তি ; ধৰ্ম্মপথের দুৰ্গমতাকে বাড়াইয়া বলিবার জন্য ক্ষুরধারার সঙ্গে তুলনা করা হইয়াছে। কিন্তু ধৰ্ম্মপথের দুৰ্গমতার অভিজ্ঞতা। যাহার আছে তিনি শ্রবণ মাত্র বলিয়া উঠিবেন। “ঠিক ! ঠিক ! শাণিত ক্ষুরধারাই ত বটে” । অথবা আর একটীি