পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধিয়ে যোনঃ প্ৰচোদয়াৎ ? 8 \o চিনিয়া ফেলিয়াছে। কোন ও কেন ও কথা শুনিয়া মানুষ অনুভব করিয়াছে এত সামান্য কথা নয়, ইহ। সেই অপৌরুষেয় বাণী । তিনি আমাদের অা তুষাতে ওতপ্ৰোত ভাবে নিহিত না। থাকিলে ধৰ্ম্ম আমাদের পক্ষে সম্ভব হইতে না । ধৰ্ম্ম তাহার স্বরূপ, ধৰ্ম্ম তাহার সত্তার প্রকাশ মাত্র। যেমন উৰ্দ্ধগামী ধুম কাষ্ঠস্থিত অগ্নিকেই প্ৰকাশ করে, তেমনি মানবের উৰ্দ্ধগামী আকাঙক্ষা সেই হৃদয়-নিহিত পরাৎপর পুরুষকেই প্ৰকাশ করে । আকাঙক্ষ আতুয়ার দীর্ঘ নিশ্বাস-“হায় আমি ভাল হইতে চাই ।” যে বলিতেছে-“আমি 'ভাল হইতে চাই”। সে বৰ্ত্তমানটাকে মন্দ বলিয়া দেখিয়ছে, তাহার বাহিরে গিয়াছে, তাহার উপরে উঠিয়াছে, সে ব্যক্তির হ্যািদয়ে একটা আদর্শ জাগিয়াছে। চিন্তা করিয়া দেখিলেই দেখা যাইবে, এই আদর্শ সীমা-রহিত । মানুষ যখন ধৰ্ম্মকে চায়, তখন সেই অনন্তকেই চায়। কে কবে সত্যের, বা প্রেমের বা সাধুতার একটা সীমাৰ নির্দেশ করিয়াছে ? এই জন্যই বলি এই সীমাবদ্ধ জীবের সঙ্গে অনন্ত আছেন বলিয়াই ধৰ্ম্ম সম্ভব হইয়াছে। তিনি যখন মানবাত্মাতে ওতপ্ৰোতভাবে, এরূপ ঘনিষ্ট ভাবে নিহিত রহিয়াছেন, তখন তাহার পক্ষে মানবাত্মাকে প্রেরণ করা ও মানবাত্মার পক্ষে তাহার প্রেরণা লাভ করাইত স্বাভাবিক। এই প্ৰেৱণ দুই ভাবে প্ৰকাশ পায়-প্রথম ইহার প্রভাবে ভক্তের দিব্য চক্ষুর নিকটে পারমার্থিক সত্য উদ্ভাসিত