পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুমুক্ষু *もぐ জনক বাক্য ও কার্স্যের মধ্যে আছ । কোন কোন মানুষের প্ৰকৃতি কাচের ন্যায় ; অপরের ভাব ও কাৰ্য্য সহজে সে সকল প্ৰকৃতিতে প্ৰতিফলিত হয় ; ইহাদের জীবনের অধিকাংশ কার্স্য অনেক সময় রঙ্গভূমির নটদিগের কাৰ্য্যের ন্যায় অপরের ভাবকেই প্ৰকাশ করে ; তাহা তাহারা বুঝিতে পারে না। এই সকল মানুষকে একাকা করি, বা অপর ভাবাপন্ন ব্যক্তিদিগের মধ্যে নিক্ষেপ কর, দেখিবে পূর্ব ভাব অন্তৰ্হিত হইয়া গেল। এক সময়ের উৎসাহী ব্ৰাহ্ম, এক সময়ের ধৰ্ম্ম ও সমাজ সংস্কারক, হয় ত প্ৰাচীন ধৰ্ম্মের পুনরুখানকারী হইয়া দাঁড়াইলেন। আমার বিশ্বাস জীবন্তধৰ্ম্মের উৎস না পাইয়াই সকল সম্প্রদায়ের অনেক লোক ধৰ্ম্ম ধৰ্ম্ম করিতেছে। এ সকল মানুষ কোনও দিকেই টোকে না ; বিষয়াসক্তির সহিত সংগ্রামে টোকে না ; প্ৰলোভনের সহিত সংগ্রামে টেকে না ; বিরুদ্ধ ভাবের স্রোতে পড়িলে ও টোকে না । এসকল মানুষ অপরের ধৰ্ম্মজীবনের সহায়তাও করিতে পারে না । এদেশে একটী প্ৰাচীন প্ৰবাদ বাক্য চলিত আছে, ‘স্বয়মসিদ্ধঃ কথং পরান। সাধয়ন্তি’, যে নিজে সিদ্ধি লাভ করে নাই সে অপরকে কি প্রকারে সিদ্ধি দিতে পারে ? তুমি নিজে অগাধ জলে হাবুডুবু খাইতেছ, সাতরাইতেছ, কি ধরি, কি ধরি করিয়া আপনাকে সামলাইবার জন্য আকুল হইতেছ, তুমি অপরকে ধরিয়া কিরূপে তুলিবে ? যদি তোমার দুখানা পা রাখিবার মত একটু জমি পাও তবেই বলিবে-“আমি অগাধ জলের মধ্যে দুখানা পা রাখিবার মত