পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰকৃত অধ্যাত্মিকতার লক্ষণ কি ? Rò অবরোধ করিয়াছিলেন ; বিশ্বাসের দোহাই দিয়া স্বাধীনচিন্তার প্রসার বন্ধ করিয়াছিলেন ; ধৰ্ম্মের দোহাই দিয়া মানুষকে ঘোর নির্যাতন করিয়াছিলেন। সন্ন্যাসের দোহাই দিয়া দেহকে অকারণ নিগ্ৰহ করিয়াছিলেন ; এক্ষণে বোধ হয় তাহার স্বাভাবিক প্ৰতিক্রিয়া চলিয়াছে ; মানুষ জ্ঞান, স্বাধীনচিন্তা ও দৈহিক সুখকে প্ৰবল করিয়া তুলিয়াছে। যাহা হউক বৰ্তমান পাশ্চাত্য সভ্যতার গতি ক্ৰমে ক্ৰমে নির্দেশ করিতেছি । প্রথম, বর্তমান জ্ঞানোন্নতি। বিজ্ঞানের অদ্ভুত বিকাশ ও মানবের জ্ঞানের অসীম উন্নতি বৰ্ত্তমান সভ্যতার একটি প্রধান লক্ষণ । যে উনবিংশ শতাব্দী অবসান-প্ৰায়, এই উনবিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞান বিষয়ে যে সকল তত্ত্ব আবিষ্কৃত হইয়াছে ও মানবের শক্তিসামৰ্থ্য যেরূপ বাড়িয়াছে, তাঙ্গা একসঙ্গে ধারণ করিতে গেলে হৃদয় উদ্ভান্ত হইয়া যায় ! অথচ এই মহা বিশাল জ্ঞান আমাদিগকে কি বলিতেছে ? ইহা আত্মার কোনও সংবাদ দেয় না । বিজ্ঞান বলিতেছে আত্মা আছে কি না। আছে সে বিষয়ে আমার কিছু বলিবার নাই , তবে এই মাত্র বলিতে পারি, আমি যে রাজ্যে কাৰ্য্য করিতেছি, আমি যে সকল বিষয় লইয়া আলোচনা করিতেছি, তন্মধ্যে আত্মার উদ্দেশ কোথাও পাই না । আমি যে সকল বিষয়ের বিচারও পরীক্ষা করি, তাহাদিগকে পরিমাণ করা যায় ; ওজন করা যায় ; ব্যবচ্ছেদ করা যায় ; ইন্দ্ৰিয়-গোচর করা