পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰকৃত আধ্যাত্মিকতার লক্ষণ কি ? RoG) দরিদ্রেরও খাইতে ইচ্ছা করে না ? সুন্দর ফুলটার আস্রাণ কি তাহারও লাইতে ইচ্ছা করে না ? কিন্তু সুমিষ্টট ফলটি বা সুন্দর ফুলটার দিকে তাহার হাত বাড়াইবার যো নাই ; ধনীরা তাহা বেড়া দিয়া ঘিরিয়া রাখিয়াছেন ; হস্ত বাড়াইলেই বলিতেছেন, “যা যা ও সব তোদের জন্য নয় ; আমরা খাইয়া, ফেলিয়া, ছড়াইয়া যাহা পথে ফেলিয়া দিব, তাহা তোরা কুড়াইয়া খাইবি ।” এরূপ সামাজিক ব্যবস্থা যে পার-দুঃখ-কাতর হৃদয়ের পক্ষে বড়ই দুঃখ-দায়ক তাহা কে অস্বীকার করিবে ? কিন্তু মানবের পক্ষে সুমিষ্ট ফলটা খাইতে না পাওয়াই কি সৰ্ব্ব-প্রধান দুঃখ ? বৰ্ত্তমান সভ্যতার ভাব বলিতেছে ‘হঁ৷” তাঁহাই, এইটুকু ইহার প্রকৃতি । বৰ্ত্তমান সভ্যজগতে রাজনীতি বিষয়ে যে কিছু আন্দোলন হইতেছে, তাহার ভিতরে ও প্রধান ভাব এই ষে কিছু পাইতে হইবে ;” স্বসুখপরতা ইহার মূলভিত্তি। এ জগতে যেমন কিছু পাইতে হয় তেমনি কিন্তু দিতেও হয় । কিন্তু দৈহিক সুখপ্ৰধান রাজনীতি কেবল সত্ত্ব, অধিকার, (rights) লইয়া বাস করে, কি দিতে হইবে, (duties) কি, সে দিকে বড় মনোযোগ করে না । এ রাজনীতি নিজের স্বত্ত্ব স্থাপনে যেরূপ মনোযোগী অপরের দুঃখ দূরীকরণে তত মনোযোগী নহে। নিজের স্বত্ত্বের মধ্যে আবার প্রবেশ করিলে দেখা য়ায় দৈহিক সুখভোগের অধিকার ও স্বাধীনতাই তাহার ভিতরকার প্রধান কথা । এইরূপে সর্ববিভাগেই দেখা যায়, বৰ্ত্তমান সভ্যতা জড়কেই