পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

QRS छदान् } ও বিশালত বৰ্দ্ধিত হয়। একটু চিন্তা করিলেই দেখিতে পাই, এ জগতে আমরা ইচ্ছা করিয়া আসি নাই ; ইচ্ছা করিয়া থাকিতেছি না, ইচ্ছা করিয়া এখান হইতে যাব না । এক মহাশক্তি ও মহাজ্ঞান জগতকে ব্যাপ্ত করিয়া রহিযাছেন, যাহা হইতে জড় ও চেতন উভয় উৎপন্ন হইয়াছে ও সঁহাকে অবলম্বন করিয়া উভয়ে স্থিতি করিতেছে । জড় বলিলেই বলা হয়, যাহা দেখা যায়, শোনা যায়, স্পর্শ করা যায়, ইত্যাদি । অতএব জড়ের জ্ঞানের সঙ্গেই একজন দ্রািন্টা, শ্রোতা, স্পৰ্শকৰ্ত্তার জ্ঞান নিহিত, অর্থাৎ জড়ের সঙ্গেই চৈতন্যময় আত্মার জ্ঞান নিহিত । আবার চৈতন্যময় আত্মার চিন্তা, ভাব, ইচ্ছ। প্রভূতির ধারণা করিতে গেলেই দেখিতে পাই, তন্মধ্যে জড়-সংস্পৰ্শ-জনিত জ্ঞান নিহিত । এইরূপে জড় ও জীব যখন পরস্পর সাপেক্ষ, তখন এক অপরের উৎপত্তি স্থান হইতে পারে না ; এক পরম চৈতন্য পশ্চাতে রহিয়াছেন, যিনি জড় ও জীবনকে পরস্পর-বিরোধী অথচ পরস্পর-সাপেক্ষ করিয়াছেন । এই পরম শক্তি ও পরম জ্ঞান যদি আমাদের জীবনের আদি কারণ হইলেন, তবে তাহার বিধানের অধীন হওয়াই এ জীবনের পূর্ণতা ; বুক্ষের পক্ষে পুষ্প ফল ধারণেই পূর্ণতা, তেমনি এ জীবনের পক্ষে ও ঈশ্বরেচ্ছসম্পাদনে পুৰ্ণত। এই ত গেল একটা স্থূল কথা ; ইহার ভিতর একটু সূক্ষম কথা ও আছে। জীবন সম্বন্ধে ঈশ্বরোিচ্ছা কাহাকে বলে ? এইখানে একটা নূতন জগত আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। জড়