পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RGt e ধৰ্ম্মজীবন । বাস করেন না ; কিন্তু অজ্ঞ যে সে বিষয় না থাকিলেও তাহার মধ্যে বাস করে । বিষয় না থাকিলেও তাহার মধ্যে বাস করে, এ কথার তাৎপৰ্য্য কি ? সে ব্যক্তির শক্তি, সুবিধা বা অবসর নাই যে, সে ইচ্ছানুরূপ সুখ ভোগ করে ; অথচ সে এমনি হতভাগ্য যে বিষয়াভাবে বিষয় কল্পনা করিয়া সেই কল্পিত বিষয়ের ভোগদ্বারা আপনার বিষয়-ভোগ-প্রবৃত্তি চরিতার্থ করিবার প্ৰয়াস পায় । ইহা অপেক্ষ। শোচনীয় অবস্থা কি হইতে পারে ? পূর্বোক্ত আলোচনা হইতে আমরা এই মহোপদেশ লাভ করিতেছি যে, আমাদিগকে জীবনের সমুদয় ক্ষেত্ৰকে এবং সমুদয় কার্স্যকে ধৰ্ম্ম-সাধনের ক্ষেত্ৰ মনে করিতে হইবে। মানুষের মধ্যে যাহা সর্বোচ্চ ভাব তাহ। তাহার। সৰ্ব্বনিম্ন কাজের মধ্যে বাস করিতে পারে—এ কথা কখনই বিস্মৃত হওয়া হইবে না । জীবনের ভোগের সামগ্রীর সংখ্যা ও পরিমাণ অপেক্ষা চরিত্রটা অধিক মূল্যবান ; এবং চরিত্রটা জ্ঞান, গ্ৰীতি ও সদিচ্ছার কাৰ্য্যের সম্মিলিত ফল ; এই দুইটা কথা স্মরণ রাখিলেই পুর্বোক্ত আদর্শ জীবনে ফলিত হইতে পারে { যে ব্যক্তি বলিতেছে, আমার উপরে কেহ বৰ্ত্তা আছে কিনা জানি না, হাতের নিকটে যে সুখ আছে, তাহা ভোগ করাই আমার লক্ষ্য ; আর যে বলিতেছে, সুখ বা দুঃখ আমি জানি না, আমার উপরে একজন অধিপতি আছেন, তাহার ইচ্ছার