পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* मांन्द-औदनद्म रुद्ध । reb ভোগসুখে রাত ও যথেচ্ছাচারী হইয়া থাকা অপেক্ষ এটা কি ভাল নয়, যে মানুষ এক একবার ইহা মনেও করে যে এ জগতে তাহার ইচ্ছার উপরে আর একটা ইচ্ছা আছে, এবং অনিচ্ছাতেও তাহার শাসনাধীন থাকিতে হইবে ? উদাম প্ৰবৃত্তিপরতন্ত্র মানব-কুলের পক্ষে এ শিক্ষা ও মহাশিক্ষা। এইমাত্ৰ বক্তব্য যে, ধৰ্ম্মকে এইরূপ শাসন ও পোষণের যন্ত্ররূপে দেখিলে ইহার প্রকৃত মহত্ত্ব অনুভব করা যায় না এবং ইহাকে প্ৰকৃত ভাবে দেখা হয় না । সর্বশেষে ধৰ্ম্মকে আর একভাবে দেখা যায়, তাহা জীবনের উৎসরূপে । বাহির হইতে শক্তি প্ৰয়োগ করিয়া যাহা করা যায় না, অনেক সময়ে প্ৰেম ভিতর হইতে কার্স্য করিয়া তাহা করিয়া থাকে । ঈশ্বর-শ্ৰীতি যখন জীবন্ত শক্তিরূপে হৃদয়ে প্ৰবেশ করিয়া হৃদয়কে নবভাব দেয়, সেই নব-ভাব জীবনের সকল বিভাগেই প্ৰবেশ করে । সে মানুষের চিন্তা চিরদিনের অভ্যস্ত পথ পরিত্যাগ করিয়া নুতন পথে প্রবাহিত হইতে থাকে, তাহার ভাব ও আকাঙক্ষ নবীভূত হইয়া নূতন পথে বিচরণ করিতে থাকে, তাহার কায্য সকল নূতন প্রকার ভাব ধারণ করে। যে চিন্তা বা যে ভাব বা যে কাৰ্য্যটী সে হৃদয় হইতে প্রসূত হয় সেইটীই অল্পাধিক পরিমাণে সেই হৃদয়বাসী প্রেমের দ্বারা অনুরঞ্জিত হইয়া আসে। ধৰ্ম্ম যখন প্ৰাণে বাস করিয়া জীবনের উৎসরূপে কাৰ্য্য করে, তখন পারমার্থিক কাৰ্য্য ও লৌকিক কাৰ্য্য এই উভ