পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RVby ধৰ্ম্মজীবন । মানবের কল্যাণ করিতে চান, আহিরমান তাহার বিরোধী । সুতরাং সুখকর যাহা কিছু তাহা আহুর মাজদার সৃষ্টি, দুঃখকরা যাহা কিছু তাহ আহিরমানের কাৰ্য্য। যিহুদী জাতি প্ৰাচীন পারসীকদিগের নিকট হইতে ঈশ্বর ও শয়তানের মত গ্ৰহণ করে । তাহদের শাস্ত্ৰ হইতে ইহা শ্ৰীষ্টান ধৰ্ম্ম ও মহম্মদীয় ধৰ্ম্মের মধ্যে প্রবাহিত হইয়াছে । আমার বোধ হয়। প্ৰাচীন পারসীক সংস্রব হইতেই ভারতীয় আৰ্য-ধৰ্ম্মের মধ্যে দেব অসুরের ভাব প্রবিষ্ট হইয়া থাকিবে । যাহা হউক, পুৰ্ব্বোক্ত দৃন্টান্ত সকলের দ্বারা ইহাই প্রতিপন্ন হইতেছে যে, প্ৰাচীন ধৰ্ম্ম সকল ব্ৰহ্মাণ্ডকে খণ্ড ভাবেই দেখিতেন ; একই জ্ঞান ও একই প্ৰেম যে জগতের সর্বত্ৰ কাৰ্য্য করিতেছে তাহা অনুভব করিতেন না । কেবল প্ৰাচীন ধৰ্ম্ম সকলেরই উল্লেখ করি কেন ? প্ৰাচীন বিজ্ঞানও এ বিষয়ে অন্ধ ছিল । প্ৰাচীন বিজ্ঞান ও মনে করিত যে ব্ৰহ্মাণ্ডের ভিন্ন ভিন্ন অংশ পরস্পর হইতে বিচ্ছিন্ন, এবং ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের ব্যবস্থা স্বতন্ত্র । জগৎকে এইরূপ খণ্ড ও ক্ষুদ্র ভাবে দেখাতে জগং কারণের অনাদিত্ব ও অনস্ততার ভাব প্ৰাচীনদের নিকট সেরূপ প্ৰতিভাত হয় নাই ! বৰ্ত্তমান সময়ে বিজ্ঞানচৰ্চা প্ৰবল হওয়াতে ব্ৰহ্মাণ্ডকে খণ্ডভাবে দেখা অসম্ভব হইয়া পড়িয়াছে। কারণ ইহা অভ্ৰান্তরূপে প্ৰমাণিত হইয়াছে যে প্রাকৃতিক শক্তি সকল প্রকাশে ভিন্ন ভিন্ন দেখাইলেও মূলে এক। সুতরাং শক্তির ক্রীড়াভুমি যে ব্ৰন্মাণ্ড তাহাও এক ; সর্বত্র