পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ዓ8 ধৰ্ম্মজীবন । হৃদয়া দ্রকারী। সুপ্ৰসিদ্ধ ক্রমওয়েল যখন ইংলণ্ডের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত, তখন কোনও অপরাধে একজন সৈনিকের প্রাণদণ্ডের আজ্ঞা হয় । তখন সন্ধ্যার সময় ইংলণ্ডের নানা স্থানে “কারফিউ” ঘণ্টা নামে একপ্রকার ঘণ্টা বাজিত । ভজনালয়ের উচ্চ-শৃঙ্গ স্তম্ভোপরি এক একটা প্ৰকাণ্ড ঘণ্টা লম্বমান থাকিত ; ঠিক সন্ধ্যার সময় সেগুলি বাজান হইত। ঐ হতভাগ্য সৈনিকের প্রতি এই আজ্ঞা প্ৰচারিত হইয়াছিল, যে “কারফিউ” ঘণ্টা বাজিতে আরম্ভ হইলেই তাহাকে হত্যা করা হইবে । কিন্তু সে দিন আর “কারফিউ” ঘণ্টা বাজিল না। যে বৃদ্ধ ভূত্যের প্ৰতি উহা বাজাইবার ভার ছিল, সে প্ৰাণপণে বাজাইবার চেষ্টা করিল, কিন্তু ঘণ্টা বাজিল না । সে ব্যক্তি অন্ধ ও বধির, ভাল বুঝিতে পারিল না বাজিল কি না । এদিকে ক্রমওয়েল বধস্থানে স্বয়ং উপস্থিত থাকিয় “কারফিউ” ঘণ্টার ধ্বনির অপেক্ষা করিতেছেন, কেন বাজে না ? বাজিবে কি ! একটী যুবতী। স্ত্রীলোক সেই তুঙ্গশ্বঙ্গ স্তম্ভোপরি আশ্চৰ্য্য উপারে উঠিয়া যণ্টাতে জড়াইয়া আছে। সে শৃঙ্গে মানুষ উঠিতে পারে না। কিরূপে যে সে নারী সেখানে উঠিল, কেহ জানে না। ঐ রমণী কে ? ও এই সৈনিকের প্রণয়াবদ্ধ ভাবী পত্নী। আর কিছুদিন পরেই তাহদের বিবাহ হইবার কথা । দণ্ডাজ্ঞা প্রচার হইলে, ঐ রমণী স্বীয় প্রণয়ীকে মুক্ত করিবার জন্য চেষ্টা করিতে ছাড়ে নাই ; অনুনয় বিনয়, আবেদন, প্রার্থনা, কাতরোক্তিতে যাহা হয় সমুদায় করিয়াছে। কিছুতেই কিছু হয় নাই। তখন গত্যন্তর