পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१७ ধৰ্ম্মজীবন । মানুষে মানুষ চেনাটা কি এত সহজ কথা ? যে আমাকে ভাল বাসে না, সে আমাকে চেনেনা ; আমাতে যা ভাল আছে তাহা দেখিবার চক্ষু তার নাই। সে হয়ত সৰ্ব্বদাই আমার কার্স্যে একটি মলিন অভিসন্ধির আরোপ করিবে, আমার গুণাবলীকে লঘু করিয়া দেখিবে, লঘুদোষকে গুরুতর করিবে। ইহা ইহলে কি মানুষকে চেনা যায় ? যে দুই চারিজন আমাকে অকপটে ভাল বাসেন, তাহারাই আমাকে চেনেন ; আমার অভিসঙ্গি প্রভূতি র্তাহারাই বুঝিতে পারেন। শ্ৰীতি থাকিলে যেমন মানুষ মানুষকে চেনে, তেমনি হৃদয়নিহিত ঈশ্বর-প্রীতির চক্ষে এই জগতের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেই, ইহার গুঢ় সৌন্দর্ঘ্য দেখিতে পাওয়া যায়। প্রেমহীন নাস্তিকতার চক্ষে মানব-জীবনকে দেখ, ইহাতে মনোমুগ্ধকারী কিছুই নাই । ঘোর অজ্ঞতার অন্ধকার মধ্যে মানব কারারুদ্ধ ; দুৰ্জয় শক্তি সকল নিরস্তুর তাহাকে বিনাশ বরিতে চাহিতেছে ; মানবের ইচ্ছাকে দালন করিতেছে ; শক্তিকে পরাভূত করিতেছে ; সমুদয় চেষ্টাকে চূর্ণ বিচূর্ণ করিয়া দিতেছে ; মানব নিরুপায় হইয়া ঘোর অন্ধকারে জুওলজিকাল গার্ডেনের ব্যান্ত্রের ন্যায় কৃষ্ণবৰ্ণ লৌহময় প্রাচীরে আঘাত করিতেছে; যাতনায় চীৎকার করিতেছে ; সাড়া শব্দ দিবার বা উদ্ধার করিবার কেহ নাই ; লৌহময় প্রাচীরে আঘাত করিয়া শক্তিক্ষয় ভিন্ন অন্য ফল নাই। এরূপ জীবন যাপন অপেক্ষা আত্মহত্যাই কি শ্রেয় নয় ? এই নাস্তিকের মানব-জীবনকে প্রেমের চক্ষে দেখ, দেখিবে ইহা