পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম মানব-জীবনের শক্তি । RyVO নাদের ভ্ৰম বুঝিতে পারিয়া উক্ত সামান্য প্রহরীর হস্তে আপনাদের অস্ত্ৰ শস্ত্ৰ দিয়া বন্দী হইয়া গেল । তাহারা ত মনে করিলে সেই একজন মাত্র প্রহরীকে হত্যা করিতে পারিত ; কেন পারিল না ? আর উক্ত প্রহরীই বা কোন সাহসে সেই সৈন্যদলকে বন্দী করিতে প্ৰবৃত্ত হইল ? উত্তর এই, তাহারা জানিত, এবং সেও জানিত, যে তাহার পশ্চাতে একটা প্ৰকাণ্ড রাজ্য ও তাহার সমগ্র রাজশক্তি রহিয়াছে ; সে স্বকৰ্ত্তব্য সাধনে যাহা করিতেছে, তাহার বিরোধী হইলে, দুই রাজো তুমুল সংগ্ৰাম বাধিয়া যাইবে ; এবং হয়ত বিরোধীদিগকে ধনে প্ৰাণে বিনষ্ট হইতে হইবে । এই সংস্কারই তাহার বলের কারণ ও সৈন্যদলের বাধ্যতার কারণ । মানুষটা ছোট দেখিলে কি হয়, তাহার পশ্চাতে যাহা রহিয়াছে তাহাত আর ছোট নয় । সেই শক্তির বল বিক্রমেই ঐ ক্ষুদ্র মানুষের বলবিক্রম। চক্ষে দেখিতে একটি ছোট লোহার তার দেখিতেছি, ঐ লোহার তারাগাছি লাগাইয়া প্রকজন বিজ্ঞানবিৎ একটা প্ৰকাণ্ড পাষাণকে উলটাইয়া দিতে যাইতেছেন, দেখিয়া লোকে হাসিতেছে, ঐ সামান্য তারের সাধ্য কি যে অত বড় পাষাণকে উলটায় ? কিন্তু সে শক্তিত সে তারের নয় ; তাহার পশ্চাতে যে ব্যাটারি বা তাড়িতাধার রহিয়াছে তাহার। পাষাণটী যখন বিপৰ্য্যস্ত হইল, তখন অজ্ঞ লোকে অবাক হইয়া ভাবিতে লাগিল, এ কি ব্যাপার ! তেমনি এক একজন মহাপুরুষ যখন সামান্য সূত্র ধরিয়া জগতকে কঁপা