পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OS JR दीग्रोदन् । সংঘর্ষণের দ্বারা মানবের শক্তিকে ফুটাইতেছেন। শিশুটী ভূমিষ্ঠ হইয়া যখন এ পৃথিবীতে চক্ষু মেলিল, তখন তাহার দশন শক্তিকে ফুটাইবার জন্য আলোক প্ৰস্তুত। সেই আলোক তাহার দর্শনেন্দ্ৰিয়ে পড়িয়া সে ইন্দ্ৰিয়াকে উজ্জ্বল করিয়া তুলিল, দর্শন ক্রিয়া সম্পন্ন হইল, আমরা বলিলাম সে চাহিয়া দেখিল । তৎপরে প্রতিদিন ও প্ৰতি মুহূৰ্ত্তে তাহার শিক্ষা চলিল। জগতের বিবিধ বর্ণের, বিবিধ আকৃতির পদার্থের সহিত তাহার দশনেন্দ্ৰিয়ের পরিচয় হইতে লাগিল ; তাহার দৃষ্টি ঐ সকল পদার্থের মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিরূপণ করিতে লাগিল ; তাহার মন সদৃশ বস্তু সকলকে অজ্ঞাতসারে শ্রেণীবদ্ধ করিতে লাগিল ; পদার্থ সকলের স্বভাব রীতি ও গতি নিৰ্ণয় করিতে লাগিল ;-ইহাকেই বলে জ্ঞান-পরম্পরা । সত্যের সংস্রব ভিন্ন জ্ঞান সম্ভব নয় ; সত্যের সহিত সংঘর্ষণ ভিন্ন জ্ঞান ফোটে না । মানব যে শিক্ষার গুণে বর্তমান জ্ঞানোন্নতি ও সভ্যতাতে আরোহণ করিয়াছে, তাহার প্রণালীর বিষয়ে চিন্তা করিলে কি আশ্চর্স্যান্বিত হইতে হয় না ? মূলেত মানবের পঞ্চেন্দ্ৰিয়-যুক্ত মন ও পঞ্চভুতাত্মিক জগত ভিন্ন আর কিছুই ছিল না । জগদীশ্বর মানবসন্তানকে ধরাতে আনিয়া এই মেদিনীরূপ ধাত্রীর কোলে দিয়াছিলেন ; বলিয়াছিলেন—“দেখ, শোন, ঠিক, শিখ, মানুষ হও ।” তৎপরে এই ধাত্রী কি স্বীয় পালিত পুত্রের প্রতি সদয় ব্যবহার করিয়াছে ? কখনই না ; মানুষকে মাটী খুড়িয়া জল বাহির