পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

♥99bቻ” ধৰ্ম্মজীবন। ইয়া দিয়া গিয়াছেন, এইরূপে এক একটি শাখা নামিয়া पठानिCङCछ ! তবেই দেখিতেছি ঋষিত্ব, স্মৃতি বা শাস্ত্র ও গুরুপরম্পরা তিনটাই মানবের শিক্ষাপ্ৰণালীর অন্তৰ্গত-সৃষ্টিকর্তা বিধাতার বিধান । অপরাবিদ্যা সম্বন্ধে যে কথা খাটে, পরবিদ্যা সম্বন্ধে ও সেই কথা খাটে । পরমাত্মার স্বরূপ ও মানবাত্মার সহিত তাহার সম্বন্ধ বিষয়ে যাহার। সাক্ষাৎ জ্ঞান লাভ করিয়াছিলেন, তঁহারাই এ জগতের ঋষি ।। তাহারাই জগতকে কিছু দিয়া গিয়াছেন, তাহারাই মানবের ধৰ্ম্মচিন্তাকে উচ্চতর মঞ্চে তুলিয়া দিয়া গিয়াছেন । এ জগতেও, যাহারা অন্ততঃ কিছুপরিমাণে ঋষিত্ব লাভ না করে, তাহারা কিছু দিতে পারে না । যাহারা কেবল স্মৃতিকে অবলম্বন করিয়া থাকে, তাহারা “অন্ধেন নীয়মানা যথান্ধিাঃ ;” অন্ধের দ্বারা নীয়মান অন্ধদিগের ন্যায় গতানুগতিকেই অনুসরণ করে। ঋষি, শাস্ত্ৰ ও গুরুপারস্পর অধ্যাত্মিবিদ্যা সম্বন্ধেও বহমান রহিয়াছে । ইহা মানবের শিক্ষার প্রণালীর অন্তৰ্গত। প্ৰথমে বিচার করা যাউক, এ রাজ্যে ঋষি কাহারা ? যাহারা বাকুলত একাগ্ৰতা, ও তন্ময়তার গুণে ঈশ্বরের স্বরূপ সম্বন্ধে এক এক বিষয়ে সিদ্ধি লাভ করিয়াছেন, অর্থাৎ সাক্ষাৎ প্ৰতীতি করিয়া ছেন, তাহারাই এ জগতের ঋষি। ভগবদগীতাতে ভগবানের উক্তি বলিয়া একটি উক্তি দেওয়া হইয়াছে, সেটা এই--