পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@子 QUIVI ক্রমে হৃদয়স্থিত সমুদয় বাসনা বর্জন করিয়া থাকেন । দীর্ঘকাল আমার সেবা দ্বারা আমাতে দৃঢ় ভক্তি লাভ করিয়া, কামদ্বেষকলুষিত লোক পরিত্যাগপূর্বক, তুমি আমার অনুগত ব্যক্তিগণের মধ্যে গণ্য হইবে। ” ভাগবতকার এখানে দেবর্ষি নারদের মুখ দিয় । ভক্ত জীবনের যে ছবি অঙ্কিত করিয়াছেন, তাহ ধৰ্ম্ম জগতে বিরল নহে । আরও অনেক ভক্তের জীবনে এইরূপ ক্ষণপ্রভার ন্যায় ক্ষণাকাল দর্শন ও তৎপরে বিচ্ছেদের যাতনার বিবরণ প্ৰাপ্ত হওয়া যায় । যাহারা ভক্ত শিরোমণি চৈতন্যের জীবন-চরিত পাঠ করিয়াছেন । তাহারা সকলেই অবগত আছেন যে, গয়াধামে যখন তিনি ঈশ্বর পুরীর নিকটে ভক্তিমন্ত্রে দীক্ষিত হইলেন, তখন প্রথম প্ৰথম তাহার চিত্তের এক অপূর্ব অবস্থা হইয়াছিল। কৃষ্ণ সাক্ষাৎকার লাভ করিয়! তাহার হৃদয় আনন্দে প্লাবিত হইতে লাগিল ; তিনি যেন এক অপুর্কী সুধাসাগরে সন্তরণ করিতে লাগিলেন ; দিন রাত্ৰি কোথা দিয়া অতিবাহিত হইতে লাগিল তাহা যেন অনুভব করিতে পারিলেন না । কিন্তু এই মনআনন্দের অবস্থা অধিক দিন থাকিল না । তাহার বোধ হইল যেন তাহার ইন্ট দেবতা। হঠাৎ হৃদয় হইতে অন্তহিত হইলেন ; সেই আনন্দের প্লাবন হঠাৎ হ্রাস হইয়া গেল ; জগৎ অঙ্গকার হইয়া গেল । এরূপ কথিত আছে, এই অবস্থাতে তিনি ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়া “কৃষ্ণরে! বাপ রে” বলিয়া কঁাদিতে কঁাদিতে বৃন্দাবনাভিমুখে বাহির হইয়াছিলেন। আরও অনেক ভক্তের