পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

qyteza নাই ; তাহারা ধৰ্ম্মকে চাহিতেছেন না ; কেবল গতানুগতিকের অনুসরণ করিয়া যাইতেছেন। কিসে ভগবানে রতি মতি হয়, কিসে প্ৰবৃত্তিকুল বশীভুত হয়, কিসে ‘অন্তরাত্মা অভয়ধামে আশ্রয় প্ৰাপ্ত হয়, এজন্য তঁাহার। বাকুল নহেন। তঁহাদের অ্যাকাঙক্ষাহীন সাধন প্ৰাণ-বিহীন ক্রিয়া মাত্ৰ । আবার বলি, আকাঙক্ষাই ধৰ্ম্মজীবন । যেমন ক্ষুধা দেহের গঠন ও পোষণের উপযোগী সামগ্ৰী সকল খাদ্য বস্তু হইতে সার-সংগ্ৰহ করিয়া ( দহস্থ ধাতু সকলকে গঠন করে, তেমনি অ্যাকাঙক্ষ । ধৰ্ম্মজীবন ও চরিত্র গঠনের উপযোগী উপাদান সকল এই জন-সমাজ ও এই মানব-জীবন হইতেই সংগ্ৰহ করিয়া থাকে । মানুষকে এ জগতে বাস করিতে ও বৰ্দ্ধিত হইতে হইবে । এই জীবনের পথে অগ্রসর হইতে গেলেই তাহাকে সৎ ও অসৎ উভয়ের সহিত সাক্ষাৎকার করিতে হইবে ; নিতান্ত সদভি= সন্ধির দার! প্ৰণোদিত হইলে ও তাহাকে অনেক সময়ে ভ্ৰান্তিবশতঃ বিপণে পদার্পণ করিতে হইবে ; গুরুতর প্রলোভনে। পড়িয়া সময়ে সময়ে তাহার পদস্থলন হইবে । কে তাহাকে এই সকল ভ্ৰমপ্ৰমাদ বিসু বাধা ও পাপ-প্ৰলোভন-সঙ্কল পথে রক্ষা করিতে পারে ? উত্তর-আকাঙক্ষা । যদি সুসময়ে তাহার অন্তরে সাহ হইবার আকাঙক্ষী উদিত করিয়া দিতে পারে, তবে সেই অ্যাকাঙক্ষ তাহার হৃদয়ে বাস করিয়া তাহাকে অসৎকে খৰ্জন ও সৎকে গ্ৰহণ করিতে সমর্থ করিবে । হৃদয়ের মধ্যে এই রূপ একটি শক্তিকে স্থাপন করাই শিক্ষার সর্বপ্ৰধান উদ্দেশা ।