পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ o ধৰ্ম্মজীবন । তাহাই আবার আদি বুদ্ধের গুণক্রিয় রূপে চিত্তক্ষেত্রে প্রবিন্ট হইল ; যাহা হউক। এ সম্বন্ধে অপরাপর মহাজনগণের অবলম্বিত মাৰ্গ আমাদের নিকট সমধিক যুক্তিযুক্ত বলিয়া বোধ হয় । আমরা বিশ্বাস করি এই ধৰ্ম্ম-নিয়ম এক জ্ঞান-ক্রিয়াসম্পন্ন পুরুষের ইচ্ছা-সমুদ্ভুত ; এবং এই ধৰ্ম্মনিয়মের অধীন হওয়াই তাহার ইচ্ছার অধীন হওয়া । মানবকে যে এই মহতী ইচ্ছার তাপীন হইতে হইবে সে বিষয়ে কোন ও মহাজনের মতদ্বৈধ দেখিতে পা ওযা যায় না । সকলেই এক বাকো বলিতেছেন সেই মহাতী ইচ্ছা!ব অধীন। হওয়াই ধৰ্ম্ম । কিন্তু প্রশ্ন এই, কেন মানব সে ইচ্ছার বশবৰ্ত্ত হইতে পারে ন! ? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়া মহাজনগণ আর একটা তত্ত্বে প্রবিন্ট হইয়াছেন। তাহারা গভীর আলোচনার দ্বার! দেখিয়াছেন ঘে মানবের অন্তরে যেন দুইটা *[क्रुि বিদ্যমান, যাহা ত্যাচাকে দুই দিকে আকৰ্মণ করিতেছে । প্ৰথম, মানবের সুখপ্রিয়ত, সে নিজে কিন্তু চায়, নিজের রুচি ও প্রবৃত্তির অনুসারে চলিতে চায় ; দ্বিতীয়, পূৰ্ব্বোক্ত ধৰ্ম্মনিয়মের সাক্ষীস্বরূপ কি একটা শক্তি তাহার হৃদয় মাপ্যে নিহিত থাকিয় তাহাকে আর এক দিকে অ কার্সণ করে । এই উভয় শক্তির বিরোধের মধ্যে কি করিতে হইবে ? মহাজনগণ এক বাক্যে বলিতেছেন, নিজে সতন্ত্র ভাবে মাহ। চাহিতেছ। তাহাকে পরিহার করিতে হইবে। ইহাকেই বুদ্ধ বাসনার বিলয় বলিয়াছেন, যীশু আত্ম-বিলোপ বলিয়াছেন, মহম্মদ পূর্ণ