পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“অস্তীতি ব্রুবতে ন্যত্ৰ কথাৎ তদুপলভ্যতে ” উপনিষদের একটা বচনে আছে :- ? “অস্তীতি ব্রুিবতে ন্যত্ৰ কথং তদুপলভ্যতে ?” অর্থ-“যে ব্যক্তি বলে তিনি আছেন, সেরূপ ব্যক্তি ভিন্ন অপরের দ্বারা তিনি কি প্রকারে উপলব্ধ হইবেন ?” যে সুকোমল কুসুম স্বর্গের শিশির দ্বারা প্ৰতিপালিত হয়, এরং সুন্দর সমীরণের করম্পর্শেই আপনার গন্ধ ভার প্রদান করিয়া থাকে, সে যেমন মানবের কঠিন অঙ্গুলির সংস্পৰ্শ পাইলেই মান হইয়া যায়, তেমনি অনেক সূক্ষম আধ্যাত্মিক ভাব আছে যাহা সংশয়ের স্পর্শও সহ্য করিতে পারে না। তুমি যদি বল আছে, তাহা হইলে তাহা বাস্তবিক তোমার পক্ষে । আছে, আর যদি বলিলে “নাই” তবে তাহা তোমার পক্ষে নাই। প্রাচীন গ্ৰীসদেশীয় পুরাণে এই মহা সত্যের পরিপোষক একটা সুন্দর আখ্যায়িকা প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। ] গ্ৰীক কবিগণ মানবাত্মাকে একটি পরম রূপবতী রমণী বলিয়া কল্পনা করিয়াছেন। তাহার নাম Psyche সাইকী । Eros ঈরস বা প্ৰেম সাইকীর প্রণয়ে আসক্ত হইয়াছিলেন। কিন্তু তিনি রাত্রির অন্ধকারে ভিন্ন সাইকীর নিকটে আসিতেন না; এবং আপনার নাম ধাম বলিতেন না। সাইকী কেবল প্রেমের মধুর বাণী শুনিতেন, তাহার” মুখ। কখনও দেখিতে পাইতেন না। ঈরস সাইকীকে বলিয়াছিলেন যে—“তুমি আমার মুখ দেখিতে পাইবে না, যদি কখনও আমার মুখ