পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিরন্ময় পরম কোষ । SS অভিভাবকস্বরূপ মহাজন-পূজা প্ৰবৰ্ত্তিত হয়। ইহারাই কালে জাতীয় অধিষ্ঠাত্রী দেবতারূপে পূজিত হইতে থাকেন, তৎপরে ইহঁদের মধ্যে একজন হয় ত অপরাপর সকলের উপরে শ্রেষ্ঠতা লাভ করেন, এবং তিনি সর্বগুণসম্পন্ন বলিয়া আদৃত হন। উত্তরকালে ইনি সৰ্ব্বারাধ্য ঈশ্বরীরূপে গৃহীত হইয়াছেন। এইরূপে যিহুদী জাতীর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা জাভে বা যিহোভা উত্তরকালে সমগ্ৰ জগতের অধীশ্বরীরূপে অবলম্বিত হইয়াছেন । আর একদল বলেন, নির্ভরের ভাব হইতেই ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসার উৎপত্তি ! মানব আদিম অবস্থাতেই নিরন্তর আপনাকে দুৰ্বল, সীমাবদ্ধ ও পরতন্ত্র দেখিয়াছে। দেখিয়াছে যে, এ ব্ৰহ্মাণ্ডে তাহার ইচ্ছাকে কেহ গ্ৰাহ করে না ; তাহার ইচ্ছা পূর্ণ হয় না, বরং পদে পদে চূৰ্ণ হইয়া যায়। সুতরাং চিন্তার উন্মেষের সঙ্গে সঙ্গেই সে অনুভব করিয়াছে যে ব্ৰহ্মাণ্ড মধ্যে অপর কোনও শক্তি বিরাজিত, যে শক্তি সৃষ্টি প্ৰলয় প্রভূতি করিতেছে। তৎপরে যখন দেখিল যে জল বায়ু অগ্নি প্রভৃতি প্ৰাকৃতিক পদার্থ সকল প্ৰভুত শক্তিশালী, দুৰ্জয় বেগবান ও অপরাজেয়, তখন মনে করিল। তাহারাই বুঝি ঐ ব্ৰহ্মাণ্ড-শাসিনী-শক্তি ; সুতরাং তাঁহাদের পূজা আরম্ভ করিল। ক্ৰমে জ্ঞানের উন্নতিসহকারে বুঝিতে পারিল, জল বায়ু প্ৰভৃতি আদর্শশক্তি নহে, তখন আবার তাঁহাদের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা কল্পনা করিল। এইরূপে ক্ৰমে ক্রমে ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসাতে উপনীত হইল । উক্ত উভয় প্রকার উত্তর দ্বারা যে আদিপ্রশ্নের মীমাংসার