পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

च्धछम्न-पाय । মনে কর একটী কুকুর একাকী ও অসহায় অবস্থাতে অপর কুকুর দলের মধ্যে পড়িয়াছে ; তাহারা সকলে দলবদ্ধ হইয়া তাহাকে আক্রমণ করিতেছে, তখন তাহার কি প্ৰকার অবস্থা হয় ? সে কিরূপ ভীরুতা ও যাতনা প্ৰকাশ করে ? কিন্তু এমন সময় হঠাৎ যদি তাহার প্রভু। সেই স্থানে উপস্থিত হন, তখন কি আশ্চর্ঘ্য পরিবর্তন দৃষ্ট হয় ! সেই ভীরু ও দুর্বল প্ৰাণী তখন সাহসী হইয়া উঠে এবং আপনাকে প্রভুর পদদ্বয়ের মধ্যে সুরক্ষিত করিয়া সেই সমুদায় আততায়ীকে তিরস্কার করিতে থাকে । তবে দেখা যাইতেছে যে কোনও স্থানকে নিরুদ্বেগ শাস্তির স্থান মনে করিবার পক্ষে তিনটীর প্রয়োজন। প্ৰথম, সে স্থানটী তার নিজের স্থান বোধ হওয়া চাই ; দ্বিতীয়, স্থানটী সম্পূর্ণরূপে আশঙ্কা-রহিত হওয়া চাই ; তৃতীয়, সেখানে আত্মরক্ষার সদুপায় থাকা চাই। এ জগৎকে আমাদের আত্মার পক্ষে নিরুপদ্রব শান্তির স্থান ভাবিবার পক্ষেও ঐ তিনটীর প্রয়োজন । আমরা কি চক্ষে জগতকে দেখি তাহার উপরে আমাদের শাস্তি বা অশান্তি অনেক পরিমাণে নির্ভর করে । এই প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে বিভিন্ন ধৰ্ম্মে জগতকে যে বিভিন্ন ভাবে দেখিয়াছে, তাহা স্মরণ হয়। প্রায় সকল প্ৰাচীন ধৰ্ম্মেই দেখি তাহারা জগৎকে প্রেমের চক্ষে দেখেন না । তঁহাদের সত্যযুগ। পশ্চাতে। তঁহারা বলেন, জগত এক সময়ে সুখের অবস্থাতে ছিল, তৎপরে সে অবস্থা হইতে ভ্ৰষ্ট হইয়াছে ; এবং দিন দিন অধোগতি প্ৰাপ্ত হইতেছে। এখন ঘোর