পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N R ौवन । নিত্যানিত্য-বিবেক দুই প্রকারে মানবচিত্তে জন্মিতে পারে। প্ৰথম, পার্থিব পদার্থসমূহের অসারত ও অনিত্যতা প্ৰতিপাদন দ্বারা ; দ্বিতীয়তঃ, আনিত্যের মধ্যে নিত্য হইয়া যিনি আছেন, তাহাকে জানিয়া । এই দুইটী প্ৰণালীর মধ্যে নিত্য বস্তুর জ্ঞানকে উজ্জ্বল করাই উৎকৃষ্টতর প্রণালী । কারণ নিত্যকে জানিলে মানুষ স্বতঃই অনিত্যকে পরিত্যাগ করে। উৎকৃষ্টকে জানিলে আর অপকৃন্টে কাহার ও রুচি থাকে না । মহৎকে যে জানিয়াছে সে কি আর ক্ষুদ্রে আসক্ত হয় ? যে ব্যক্তির ভবনে প্ৰত্যহ সহরের সুগায়কদিগের সমাগম হয়, তাহাদের সুস্বরসুধাতে যাহার মন পূর্ণ রহিয়াছে, তিনি কি বভিখারীর একটা গান শুনিবার জন্য পথে দাড়াইয়া থাকেন ? যে ব্যক্তির ভবন সুচিত্রকরদিগের চিত্রাবলীর দ্বারা সুশোভিত, তিনি কি কালীঘাটের দোকানের সামান্য পট কিনিবার প্ৰয়াসী হন ? সেইরূপ যিনি নিত্য, সত্য ও পরম পদার্থকে জানিয়া বিমল ব্ৰহ্মানন্দ সম্ভোগ করিয়াছেন, তিনি কি আর ক্ষুদ্র নশ্বর বিষয় সকলে আবদ্ধ হন ? মানব যখন জ্ঞান দ্বারা সেই অনন্ত, অবিনশ্বর, সত্য বস্তুকে প্ৰাপ্ত হয়, তখন আর তাহার মৃত্যুভয় থাকে না ; সে মর্ত্যধামের নশ্বর ভূমি ত্যাগ করিয়া অমর ধামে আশ্রয় প্ৰাপ্ত হয় ।