পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আধ্যাত্মিক ক্ষুধা-মান্দ্য। 之《@ সহিত কৃষ্ণবৰ্ণ জুষ প্রস্তুত করিল। কিন্তু মিশররাজ তাঁহা মুখে দিয়া উদারস্থ করিতে পারিলেন না ; তাহা এতই বিস্বাদ মনে হইল। তখন তিনি পাচককে ডাকাইয়া বলিলেন, “এই তোমাদের স্পার্টার কৃষ্ণবর্ণ জুষ !” পাচক করযোড়ে কহিল“মহারাজ ! ইহাতে একখানি মসলা পড়ে নাই।” রাজা বলিলেন- “সে কি কথা, আগে কেন বল নাই ? যে মসলার প্রয়োজন, তাহ। আমি আনাইয়া দিতাম।” পাচক বলিল – “মহারাজ ! সে মসলাখানির নাম ক্ষুধা।” ঠিক কথা, যোগানে ক্ষুধা নাই, সেখানে খাদ্যবস্তুর স্বাদও নাই । ক্ষুধা বৃদ্ধি হইলে খাদ্য বস্তুর জন্য আগ্ৰহ বৃদ্ধি হয়, ইহা সকলেই জানে। এইজন্য যাহারা কুকুটের লড়াই খেলিয়া থাকে, তাহারা তৎপূর্বে কুকুটগুলিকে দুই এক দিন অনাহারে রাখে। ক্ষুধাৰ্ত্ত অবস্থাতে খাদ্যবস্তু যখন তাঁহাদের সম্মুখে উপস্থিত হয়, তখন ঐ সকল পক্ষী জীবন মরণ পণ করিয়া প্ৰতিদ্বন্দ্বীর সহিত সংগ্রামে প্ৰবৃত্ত হয় । এই জন্যই বোধ হয় ঈশ্বরও আমাদের আধ্যাত্মিক ক্ষুধার অন্ন বিলম্বে দিয়া থাকেন । আমাদের পাপের প্রতি যখন ঘূণা জন্মে এবং আমরা নবজীবন লাভের জন্য ব্যগ্ৰ হই, তখন এমনি মনে হয় যেন এক মুহুর্তের বিলম্ব ও সহ্য হয় না ! যদি এক লম্ফে নরকের গভীর গৰ্ত্ত হইতে সপ্তম স্বর্গে উঠা সম্ভব হয়, তবে তাহা আমার পক্ষে ঘটুক। কিন্তু জীবনের পরীক্ষাতে দেখা গিয়াছে যে, পাপী এক লঙ্কে সপ্তম স্বৰ্গে উঠিতে চাহিলেও ঈশ্বর তাহা তোলেন ন। এক মুহুর্তে মন ফিরিতে পারে, এক মুহুর্তের মধ্যে