পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N08 byr थखोदम । অধিক নষ্ট করিয়া ফেলে। সেইরূপ জানিও প্ৰসন্ন ও সুস্থিরচিত্ত না হইলে জীবনের সুখও ভাল করিয়া ভোগ করা যায়। না । জীবনের কৰ্ত্তব্যপালন ও ঈশ্বরের শ্রমন মনন ত পরের কথা। ঈশ্বরের উপাসনা মন্দিরের বায়ু প্ৰশান্ত ও সুগন্ধি। বাহিরের আন্দোলন ও তরঙ্গ সেখানে নাই, বাহিরের উত্তাপও সেখানে নাই । স্থির ও প্ৰশান্ত মন্দিরে প্ৰেমালোকে তাহাকে দর্শন করিতে হয়। আত্মার সেই অন্তঃপুর অতি নিৰ্জন পুর। আমরা যতক্ষণ বহিঃপ্রাঙ্গণে থাকি ততক্ষণ হর্ষ শোকের আন্দোলন অনুভব করি । সে আন্দোলনকে অতিক্রম না। করিলে সে পুরে প্রবেশ করিতে পারা যায় না। এই জন্যই উপনিষদকার ঋষিগণের ন্যায় সর্বদেশের সাধুগণ এই চিন্তা করিয়াছেন যে, এই হর্ষ শোকের আন্দোলন ও আঘাতকে অতিক্রম করা যায় কিরূপে ? এমন কি কোনও সঙ্কেত আছে যাহা একবার জানিলে এই ভাবের পরিবর্তন, হ্রাস বৃদ্ধি ও সংক্রামকতার মধ্যে একটা স্থির ভূমি প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। একটী সঙ্কেত এই যে, আমাদের ঈশ্বর-প্ৰীতিকে সত্য জ্ঞানের ভিত্তির উপরে স্থাপন করিতে হইবে । সর্বত্র ও সর্ববিষয়ে সত্য জ্ঞান প্ৰত্যক্ষ-জনিত । জ্ঞান দুই প্ৰকার আছে, - প্ৰত্যক্ষ ও পরোক্ষ ! পরোক্ষ জ্ঞান পরাধীন, প্ৰত্যক্ষ জ্ঞান স্বাধীন। যাহা তুমি শুনিয়া জানিয়াছ, তাহার জন্য -তোমাকে সর্বদাই পরের উপরে নির্ভর করিতে হয়। সর্বদাই অমুক গুরুর মুখে শুনিয়াছি বা অমুক শাস্ত্ৰে আছে এইরূপ পরের দোহাই দিতে হয় । কিন্তু প্ৰত্যক্ষ জ্ঞানের প্রকৃতি অন্য