পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Othe ধৰ্ম্মজীবন । মানব-শ্রেণী নানা প্ৰকার দ্রব্য বহিয়া লইয়া যাইতেছে। আমরা পিপীলিকাদিগের খাদ্য বহন দেখিয়া যেমন বিচার করি, সেইরূপ তুমি বিচার করিতেছ, এগুলি ইহাদের খাদ্য অথবা অপর কোন প্রকার প্রয়োজনীয় বস্তু হইবে, নতুবা যত্নপুর্বক বহিয়া ঘরে লইয়া যাইবে কেন ? এইরূপে পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে করিতে তুমি কতগুলি দেবমন্দির, মসজিদ, গির্জা ও অপরাপর প্রকার ভজনালয় দৰ্শন করিলে। তুমি আশ্চর্স্য হইয়া ভাবিতেছ। ইহার এখানে কি করিতেছে ? কাহাকে লক্ষ্য করিয়া কথা বলিতেছে ? এ ব্যাপারটা কি ? এ সকল কাৰ্য্য কোন স্বাভাবিক অভাবের জ্ঞাপক ? বহিঃপ্রাঙ্গণ হইতে দেখিলে ধৰ্ম্মের এই সকল ক্রিয়ার ন্যায় অর্থশূন্য ক্রিয়া আর কি হইতে পারে ? কিন্তু এই সকল ক্রিয়ার অন্তরালে একটা অন্তঃপুর আছে, একটা সাজঘর আছে, যেখান হইতে এই সকল ক্রিয়া উৎপন্ন হইতেছে। সেই মূলীভুত আকাঙক্ষার প্ৰকৃতি কি তাহা নির্দেশ করিতে গিয়া চিন্তাশীল ভাবুকগণ বিস্ময়ান্বিত হইয়াছেন। এই স্বাভাবিক আকাঙক্ষা মানবকে অপরাপর জীব হইতে পৃথক করিতেছে। মানব অনন্ত-মুখীন জীব। এই অনন্ত-মুখীনতা মানবের প্রকৃতি-নিহিত । এই আকাঙক্ষাই শ্রবণ মনন নিদিধ্যাসনাদি দ্বারা বিশ্বাস ও প্ৰেমে পরিণত হইয়া থাকে। তখন আত্মা সেই পুরাৎপর পরম পুরুষে ক্রীড়া করিয়া থাকে ও র্তাহাতেই রমণ করে। এই প্ৰেমই ধৰ্ম্মের অন্তঃপুর আর ক্রিয়া ধৰ্ম্মের বহিঃপুর। ধৰ্ম্মের অন্তঃপুরে প্ৰেম, বহিঃপুরে ক্রিয় ; একথা বলিবার