পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মাধ্যক্ষঃ সৰ্ব্বভুতাধিবাসঃ । । 8o) সে কাৰ্য্যের সহিত পশুপক্ষীদিগের কাৰ্য্যের কোনও প্ৰভেদনাই ; তাহাকে অন্ধ প্ৰবৃত্তির কার্স্য বলিলেও বলা যায়। আমরা যে ক্ষুধাকালে আহার করি, বা নিদ্রার সময়ে নিদ্রা যাই, কিম্বা মনে কর জননী যে স্তন্য দান করিয়া শিশুকে পালন করেন, এ সকল কাৰ্য আমরা অনিবাৰ্মা প্ৰবৃত্তির বশবৰ্ত্তী হইয়াই করি। ইহাতে আমাদের হাত নাই। এ সকল কাৰ্য্যে ইত্যর প্রাণী হইতে আমাদের কিছুমাত্ৰ প্ৰভেদ নাই। এ সকল কাৰ্য আমরা র্তাহার অধীন থাকিয়াই করি। এই সকল কাৰ্য্যের প্রকৃতি ও তাহার ফল বিবেচনা করিলে বিধাতার বিধাতৃত্ব শক্তির লীলা দেখিয়া অবাক হইতে হয় । আমরা বোধশীল জীব, সকল প্রকার কার্গোরই ফলাফল আমরা বিচার করিতে পারি। কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য এই শ্রেণীর কার্য্য সকল করিবার সময় তাহার ফলাফল আমাদের বিচার মধ্যে আসে না । কে কবে আহার করিবার সময়ে চিন্তা করিয়া থাকেন, দেহের পরিপুষ্টি হইবে বলিয়াই আগার করিতেছি, অথবা কোন জননী শিশুকে স্তন্য দান করিবার সময় চিন্তা করিয়া থাকেন, আমার দ্বারা ঈশ্বর এই শিশুকে পালন করাইয়া লইতেছেন। আমরা অন্ধভাবে প্ৰবৃত্তির দ্বারাই চলি, কিন্তু তিনি আমাদিগের কার্ন্যের দ্বারা তাহার মঙ্গলকর উদ্দেশ্য সাধন করিয়া লন । বৰ্ত্তমান সময়ের উন্নত শিক্ষা প্ৰণালীতে যেমন শিশুদিগকে খেলার ভিতর দিয়া শিক্ষা দিয়া থাকে ; শিশুরা মনে করে যেন খেলা করিতেছে, অথচ । ভিতরে ভিতরে অনেক বিষয় শিক্ষা করে ; সেইরূপ আমাদের সকলের উপরে কার্স্য্যাধ্যক্ষ রূপে যিনি প্ৰতিষ্ঠিত রহিয়াছেন,