পাতা:নীতি-সন্দর্ভ.djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

© 8 নাতি-সন্দর্ভ । কথা সত্য কি মিথ্যা, ইহার তত্ত্বানুসন্ধানে প্রবৃত্ত না হইয়া তুমি যদি নিঃসন্দিগ্ধচিত্তে ইহাই বিশ্বাস কর, এবং এই বিশ্বাসে প্রণোদিত হইয়া বন্ধুকে পরিত্যাগ কর, তাহা হইলে তোমাকে হঠকারী বলা যাইবে । হঠকারী ফলাফলের প্রতি দৃষ্টি না রাখিয় কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হয়, এবং অনেক সময় ইহার কুফল দেখিয়া অনুতপ্ত হৃদয়ে কাৰ্য্য হইতে বিরত হয় । ৬ । ধৈর্মা । যখন কোন অভিনব কার্য্যে হস্তক্ষেপ কর যায়, তখন দুষ্ট ও উদ্যমহীন ব্যক্তি প্রায়ই বিদ্রুপ ও ব্যঙ্গোক্তি করিয়া থাকে । এবম্বিধ আত্যন্তিক বিক্রপ ও বাঙ্গোক্তির ফলে অনেকেরই উদ্যম ও উৎসাহ শিগিল হইয় পড়ে, সুতরাং তাহারা আর কৰ্ম্মে অগ্রসর হইতে পারে না। দুষ্ট ব্যক্তির বিদ্রুপ ও ব্যঙ্গোক্তিতে উপেক্ষা প্রদর্শন করাই বুদ্ধিমানের কার্য্য । যিনি তাহাতে কর্ণপাত করেন, তিনি নিশ্চয়ই নিজ সৌভাগ্য-পথে কণ্টক রোপণ করেন। কোন অভিনৰ কার্যো হস্তক্ষেপ করিলে যদি কেহ তিরস্কার করে, তবে তাহাভে ক্রুদ্ধ না হইয়া ধৈৰ্য্য ধারণ পূর্বক তাহার বাক্যে অবহেলা প্রদর্শন করা উচিত। রাজা যুধিষ্ঠির পিতামহ ভীষ্মদেবকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন,—“পিতামহ, মৃদুস্বভাব বিদ্বান ব্যক্তি মুর্থ কর্তৃক তিরস্থত হইলে কিপ্রকার ব্যবহার করিবেন ?" ভীষ্মদেৰ উত্তর করিলেন, “ধৰ্ম্মরাজ ! যদি কোন দুষ্ট ব্যক্তি টিটিভের স্থায় রুক্ষস্বরে তিরস্কার করে, তবে তাহাতে উপেক্ষা প্রদর্শন বুদ্ধিমান ব্যক্তির কৰ্ত্তব্য। কানন মধ্যে বায়সের বৃথা চিৎকারের