আলোচনার বিষয় ছিল বাংলার রাজনীতিক অবস্থা ও পুলিশের ক্রমবর্দ্ধিত হস্তক্ষেপ। মহাত্মার সহিত সাক্ষাৎকালে তিনি কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির এক অধিবেশনেও যোগদান করিলেন। মহাত্মার সহিত আলাপ-আলোচনা শেষ করিয়া, দেশে ফিরিয়া আসিবার পথে কল্যাণ ষ্টেশনে ১৯৩২ খৃষ্টাব্দের ২রা জানুয়ারী তারিখে, ১৮১৮ খৃষ্টাব্দের ৩ রেগুলেশন অনুসারে তাঁহাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এইবার তাঁহাকে বাংলার বাহিরে বিভিন্ন জেলে রাখা হয়, ফলে তাঁহার স্বাস্থ্য ভাঙ্গিয়া পড়ে। ইহাতে ভারত-গভর্ণমেণ্ট ভগ্নস্বাস্থ্য-হেতু ভারতের বাহিরে চিকিৎসার্থ গমন করিবার জন্য তাঁহাকে মুক্তিদান করেন।
১৯৩৩ খৃষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারী[১] তারিখে জননী-জন্মভূমির নিকট বিদায় গ্রহণ করিয়া সুভাষচন্দ্র দ্বিতীয়বার ইয়োরোপ যাত্রা করেন।
১৯৩৩ খৃষ্টাব্দের ৮ই মার্চ্চ তারিখে তিনি ভিয়েনায় উপনীত হইলেন। তথায় তিনি একটি স্বাস্থ্য-নিবাসে বাস করিতে থাকেন। ভিয়েনায় তিনি কেন্দ্রীয় পরিষদের ভূতপূর্ব্ব সভাপতি, অধুনা-পরলোকগত ভি. জে. পেটেলের সহিত সাক্ষাৎ করেন।
ভি. জে. পেটেলের জীবনের শেষ দিন পর্য্যন্ত সুভাষচন্দ্রের সহিত তাঁহার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। এই সময় মহাত্মা গান্ধী আইন-অমান্য-আন্দোলন বন্ধ করায় ভি. জে. পেটেল ও
- ↑ ২৩শে ফেব্রুয়ারী—আনন্দবাজার পত্রিকা।