পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওই ছেলের জন্য যেমন তেমন মেয়েও যে জািটবে না সেটা তো জানা কথাই, দরদের টানে সমিতি যদি রাজি হয় ! মনে মনে হাসি পাওয়ার বদলে সমিতির প্রাণটা জৰালা করে । সমীরের জন্য তার প্রাণের টান আছে শািন্ধ, এইটকু জেনেই উমার মা এমন একটা অসম্ভব কল্পনাকে প্রশ্ৰয় দিয়ে এমন আশাও পোষণ করতে পায়ে ! তার না হয় আপত্তি হবে না। সমীরের সর্বাস্থ্য নেই, বিদ্যা নেই, কয়েকটা কথা স্বাভাবিক ভাবে একটানা উচ্চারণ করার ক্ষমতা নেই-রোজগার নেই। অন্য দিকে কয়েকটা বিড়ি টানা ছাড়া কোন বিলাসিত না থাকলেও এবং নিজে সাবান দিয়ে কেচে নিয়ে সস্তা জাম-কাপড়ে চালিয়ে দিলেও নিজের খরচ চালিয়ে সে। যে কি ভাবে প্রতি মাসে সংসার খরচের জন্য তিন চার দফায় পনের বিশটা টাকা। মা'a হাতে তলে দেয় সেটা তো রীতিমত রহস্যময় ব্যাপার । চুরি-চামারি পকেট কাটার ব্যাপার চালিয়ে যাচ্ছে কি না। তাই বা কে জানে । সে না হয় দরদের খাতিরে এসব কিছই গ্রাহ্য করবে না। সারা জীবন দঃখ-কষ্ট সিয়ে কাটাতে হবে জেনেও তোয়াক্কা রাখবে না- সমীরের গলায় বর্ণমাল্য দি৩ে রাজী হবে । কিন্ত উমার মা কি ভালে গেছে সে ভাই-ঘোন মাসী-পিসিদের মস্ত একটা সংসারের অল্পবয়সী একটি মেয়ে মাত্র ? কার হাতে তাকে সমপণ করা হবে সে বিষয়ে তার সম্পমতি অসম্পমতি আপত্তি নিরাপত্তির প্রশ্নই ওঠে না ? আত্মীয়-স্বজনেরা যা স্থির করবে। সেটাই হবে চরম কথা ? সমীরের সঙ্গে তার বিয়ের কথা উঠলে সকলে হেসে উড়িয়ে দেবে ? ভাববে একটা তামাসা করা হচ্ছে ? সমীর স্নান সেরে তার সম্পবল ধতিটা এবং শার্টটি গায়ে চড়িয়ে চুল অ’চিড়ে রান্না ঘরে খেতে আসবার আগেই সমিতি তার জন্য পড়ি পেতে তার নিজস্ব কাঁচের গ্রাসে জল ভরে চীনা মাটির প্লেট ছোট বাটিটা ধয়ে সব ঠিকঠাক করে রাখে । সমীর এসেই একটি রাগত ভাবে বলে, এসব করতে গেলে কেন মা ? তোমায় না। কতবার বলেছি আমার জন্য একটও বাড়তি খাটনি তিমি খাটতে পারবে না ? রোধে দিচ্ছ তাই ঢের । বার বার ঠেকে গিয়ে থেমে থেমে জড়িয়ে জড়িয়ে কত চেন্টায় কত কন্টেই সে কথাগালি উচ্চারণ করে । ধৈৰ্য ধরে তার কথা শেষ পর্যন্ত শনে উমার মা বলে, আমি নই, সমিতি করেছে । 3 es ! সমিতির দিকে চেয়ে সমীর একটি হাসে । মাপা এক হাতা ডাল দিয়ে অলপ খানিকটা ভাত মেখে খেতে আরম্ভ করে খাব ধীরে SRI *ट्रॉन