পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমীর একটি হাসে। উমার মা বলে, মাছের ঝোলটা যে হয়নি ? মাছ ছাড়া তোর মণে তো আবায় ভাত রোচে না । একটা দেরী কর না, ঝোলটা করে দিই ? উমা রেগে বলে, কোন সকালে মাছ এসেছে, এখনো ঝোল হয়নি ? তোমরাই छदद अभिक ! ঃ আজ তাড়া আছে আগে তো বলিস নি। ডাল তরকারি দিয়ে একটি ধীরে সপোথ খা-ইলিশ মাছের ঝোল করতে কতক্ষণ । সমিতি যেন খাঁশিতে ফেটে পড়ে বলে, ইলিশ মাছ , ঝোল ভাত না খেয়ে নডম না। মােসীমা – তোমাদের কম পড়লে পড়বে। প্রায় আদেশের সরে সমীরকে বলে, উঠো না, গরম গরম মাছের ঝোল দিয়ে আর এক হাতা ভাত খেয়ে যাও ; না খেলে কলত, ঝগড়াঝাটি ফাটাফাটি হয়ে যাবে।--অয় কোনদিন আসিব না । ঃঃ আমি তো মাছ খাই না ।

  • অ্যাজ খেতে হবে }

ঃ অম্বল হলে কে সামলাবে ? ঃঃ আমি সামলাব । সকলকে অবাক করে দিয়ে সমীর সত্য সত্যই মাছের ঝোল হবার প্রতীক্ষায় ২৩ গটিয়ে বসে থাকে এবং ঝোল রান্না হলে বেশ খাশির সঙ্গেই বাড়তি মাছ ভাও পেটে 5ीन्म ४ार । সমিতি বলে, প্লেট গেলাস আমি ধয়ে রাখব’খন । সমীর খাওয়া শেষ করে কথা না বলে অাঁচাতে যায় । উমা বলে, কী মন্ত্রে ওকে তাই বেশ করেছিস রে ? সন্মতি বলে, যে মস্ত্রে তেজী গোঁয়ারকে বশ করতে হয়। পাঁচীর একটি ছেলে হয়েছিল বছরখানেক আগে । রোগা ক্যাটা ছেলে । হাড় যেন শােধ চামড়া দিয়ে ঢাকা । জীবন্ত কঙ্কালের মত ছেলেটার মা হবার পর থেকেই পাঁচীর ফিশত অদ্ভত আশ্চর্য রকম পরিবতন ঘটেছে । শাশড়ী ননদের নিযাতনে আর কাতিকের অবহেলায় প্রাণের জালায় দগধ হয়ে বিষ খেয়ে মরতে গিয়েছিল -এখন ওরকম নরম হয়ে থাকার বদলে তারা যেন হয়েছে উলেটা

  • ाऊ, १झsा क्षाठ ।

একলা কাতিকের রোজগারে সংসার চালানো সত্যই অসম্ভব। তার নিজেরই এমন খাওয়া জোটে না যে খিদে মিটে বকে একটু দািধও আসবে।-বাচ্চাটা শষে নিয়ে বাঁচবে। শিশ্য কি মায়ের শকিনো বকের চামড়া চেটে মোটাসোটা হয়, না বেচে থাকতে পারে । SRలి