পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ο ό ο পূর্ববঙ্গ গীতিকা “এই গীতিকার কোন কোন ছত্রে ঐতিহাসিক্ষ দত্বের আভাস পাওয়া যায়, 卒邻一 “সাইগরের তলে মা-বাপ করিলি কয়বার । হাম্মাদ্যার মুল্লুকে আমার কে লৈব খবর ॥” ‘হাম্মু ‘দ’ শব্দে জলদসু্য বুঝায়। এই শব্দটী স্পেনিস আৰ্ম্মােডা শব্দের অপভ্ৰংশ । কিন্তু ইহা জলদসু্যর অর্থজ্ঞাপক-স্বরূপে, প্ৰবাদ-বাক্যরূপে এই অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়। সেই সময় আরাকানরাজ পর্তুগীজ জলদসু্যর আশ্রয়দাতা এবং পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। “মিগের মুলুক” কথাটী তখন সমগ্ৰ বঙ্গদেশে ভীতি সঞ্চার করিত। আরাকানের মগ ও পর্তুগীজ জলদসু্যর অত্যাচার-কাহিনী বাঙ্গালার ইতিহাসের ਲੇ कनश्डि कद्धिशछि । “এই ক্ষুদ্র গীতিকাটী আমি চারিজন গায়কের মুখে শুনিয়াছি। প্ৰায় দুই বৎসর পূর্বে একজন বেদে-জাতীয় গায়ক আমাকে ইহার আভাস দিয়াছিল মাত্র, কিন্তু তাহা সংগ্ৰহোপযোগী ছিল না । তৎপরে আমি চরাচাকৃতাই-নিবাসী আঁধা মকবুল নামক একজন গায়কের নিকট হইতে গত মাসে এই গানটীর অনেকাংশ উদ্ধার করি । বেলায়াৎ আলী নামক একজন সংসার-বিরাগী মুসুলমান এই গানটী গাহিতে পারে। চট্টগ্রাম সহরের মধ্যে একটি দরগাহে তাহাকে মাঝে মাঝে দেখা যায়। কিন্তু তাহার মাথায় এক রকম রোগ আছে। আমার নিকট এই গানটী কিছুদূর গাহিয়াই সে থামিয়া গিয়াছিল। তাহার পর অনেক কাতরোক্তিতেও ইহার মুখ হইতে আর শব্দ বাহির হইল না। এমন অদ্ভুত প্ৰকৃতির লোক আমি আর দেখি নাই। গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি পালা-গান-সংগ্ৰহকাৰ্য্যে আমি সুদূর পল্লীগ্রামে গমন করিয়াছিলাম। ফিরিবার পথে একটী ছোট খালের মধ্য দিয়া সাম্পানযোগে আসিতেছিলাম। সাতকানিয়ার একখানি বৃহৎ সারঙ্গ নৌকা আমাদের অগ্রগামী ছিল। রাত্রির অন্ধকারে সেই সারঙ্গার মাঝি উচ্চকণ্ঠে এই গানটী গাহিয়াছিল।” এই পালা-গানটী-সম্বন্ধে মোটামুটী “সমস্ত জ্ঞাতব্য বিষয়ই আশুবাবুর উদ্ধৃত লেখায় পাওয়া যাইবে । ত্রিপুরেশ্বর গােবিন্দমাণিক্যের সঙ্গে