পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫৬ বুড় বয়সের কথা । এটী বুড় বয়সের কায়া।– তা বাই হউক, কালিদাস বুড় বয়সের গৌরব বুঝিলে কখনও বুদ্ধের কপালে মুনিবৃত্তি লিখিতেন না । বিস্মার্ক, মোটকে,ও ফেডেরিক উইলিয়ম বুড়া ; তাহারা মুনিবৃত্তি অবলস্বন করিলে—জৰ্ম্মান ঐকজাত্য কোথা থাকিত ? টিয়র প্রাচীন —টিয়র মুনিবৃত্তি অবলম্বন করিলে, ফ্রান্সের স্বাধীনতা এবং সাধারণ তন্ত্রাবলম্বন কোথা থাকিত ? প্লাডষ্টোন এবং ডিস্রেলি বুড়া—তাহারা মুনিবৃত্তি অবলম্বন করিলে, পালিমেণ্টের রিফৰ্ম্ম এবং আয়রিসচর্চের ডিসেষ্ট বুধমেণ্ট কোথা থাকিত ? প্রাচীন বয়সই বিষয়ৈষার সময়। আমি অন্ত্র দস্ত হীন ত্রিকালের বুড়ার কথা বলিতেছি না—তাহার। দ্বিতীর শৈশবে উপস্থিত। যাহার। আর যুবা নন বলিয়াই বুঢ়া, আমি তাহদিগের কথা বলিতেছি । যৌবন কৰ্ম্মের সময় বটে, কিন্তু তখন কাজ ভাল হর না । একে বুদ্ধি অপরিপক্ক, তাহাতে আবার রাগ দ্বেষ ভোগ শক্তি, এবং স্ত্রীগণেয় অনুসন্ধানে, তাহ সতত হীনপ্রভ ; এজন্য মনুষ্য যৌবনে সচরাচর কার্যক্ষম হয় না। যৌবন অতীতে মনুষ্য বহুদৰ্শী, স্থিরবুদ্ধি, লব্ধপ্রতিষ্ঠ, এবং ভোগাশক্তির অনধীন, এজন্য সেই কাৰ্য্যকারিতার সময় । এই জন্য, আমার পরামর্শ, যে বুড়া হইয়াছি বলিয়া,কেহ শ্বকাৰ্য্য পরিত্যাগ করিয়া মুনিবৃত্তির ভাণ করিবে না। বাৰ্দ্ধক্যেও বিষয় চিন্তা করিবে । তোমরা বলিবে, এ কথা বলিতে হুইষে না ; কেহই জীবন থাকিতে ও শক্তি থাকিতে ৰিষয়চেষ্টা পরিত্যাগ করে না। মাতৃস্তন পাল অবধি উইল করা পৰ্য্যন্ত আবালবৃদ্ধ কেবল বিষয়ান্বেষণে বিব্রত। সত্য, কিন্তু আমি সেরূপ বিষয়ামুসন্ধানে বৃন্ধকে নিযুক্ত করিতে চাহিতেছি না। যৌবনে ষে কাজ করি