পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা A S AMAMMSAAAAAAS SAAAAAA AAAA AAAAMAAA AAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAMMAAA SAAAAAS S কাশিতে কাশিতে কহিল, “তুইকোথায় ছিলি রে, চরণা ! এক গেলাস জল খাওয়া দেখি, দুপুর রদুরে বেরিয়ে গগ যেন কাট হয়ে গিয়েছে রে ।” কথাটা সত্য। এই কড়া রৌদ্র মাথায় করিয়া আসিবার সময় রাস্তাতেই সে তৃষ্ণাৰ্ত্ত হইয়। আসিয়াছিল। কিন্তু এই প্রস্তাব করিার কথা পুৰ্ব্ব মুহূৰ্ত্তেও সে ভাবে নাই। চরণকে কিছু একটা বলিতে হইবে ইহাই ছিল তার ইচ্ছা । অকস্মাৎ যে-জিনিষটার অভাবে তালু পৰ্য্যন্ত শুকাইয়া যাইতেছিল তাহাই এখন তাছার মুখ দিয়া তাঙ্গর অজ্ঞাতসারে বাচির হইয়া পড়িল । কিন্তু একজনের শুষ্ক কণ্ঠ শীতল করিবার অদ্ভূত ও অসঙ্গত প্রস্তাব কানে যাষ্টতেই আর দুইটি জীব সঙ্গে সঙ্গে শুকাইয়া বিবর্ণ হুইয়া গেল । সমস্ত সম্বল করায়ত্ত থাকিয়াও, আজি তাহাদের উপায়ীন অক্ষমতার জন্য এই দুর্ভাগ্য মাতা-পুত্র যেন পুড়িয়া মরিতে লাগিল। শিবু পল্লীগ্রামের ছেলে, অবস্থাট। বুঝিয়া ফেলিতে তাচার মুহূৰ্ত্ত বিলম্ব হইল না। বোধ করি সে একটু অপ্রস্তুত হইয়াও পড়িল। কিন্তু কথাট দুবাইবাব আৰ তাহার উপায় ছিল না, এটুকু সে বেশ বুঝাইয়াছিল, এখন আর চাপা দিবাব উপায় নাই, দিলেই ইফাদের অপমানের মাত্র আরো বাড়িবে বই কমিবে না । তাষ্ট সে জোর দিয়া কহিল, ”নে আর দাড়াইরে থাকিসনে, চরণা। আমি তেঃার ম'রে যাচ্ছি, আনবি ত আন, নইলে আমি নিজে নিয়ে খেতে জানি,” বলিয়াই সে সোজা হইয়া উঠিয়া দাড়াইল । তাহার উঠিয় দাড়াইবার হেতুটা অত্যন্ত মুস্পষ্ট, বুঝিতে কাকারও স্বাকী রছিল না। কারণ এ-বাড়ীতে আজ সে প্রথম আসিয়াছে তাহ। নচে । এ-স্থানটি শিবুর একটি আডগ বলিলেও চলে, এবং তাঙ্গর উৎপাত উপদ্রব ইহারা কাসিমুখে সহ করিয়া থাকে। বস্তুতঃ দিম্বর স্ত্রী এই মা-মরা ছেলেটিকে নিজেরটির চেয়ে কম স্নেহ করিত না। সেই পরম মেহের পাত্রটি যখন তৃষ্ণার জল চাইয়। খাড়া হইয়া ঘাড়াইল, তখন এই নিরুপায় নারীর সমস্ত অস্তয় ঐ জলের কলসীটির ধারে মাথা খুড়িয়া মরিতে লাগিল। কিন্তু তাইরি পদদ্বয় কোন মতেই সে ঈপ্সিত স্থানে যাইতে পারিল না। দেখিল ঋষি-প্রবণ্ডিত সনাতন সমাজ প্রকাও দানবের মত م&8سبسب 9 জা’ত-রক্ষা S T AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAS AAAAAMMA AMA MAMMASAMAAAA లి$$ این بیانیه بهمییابع চুলের মুঠা ধরিয়া তাহার মুখপানে চাহিয়া রছিয়াছে। ঃে দৃষ্টিতে না আছে করুণা, না আছে একফোটা স্নেহ--এমন কি, সমবেদনার এতটুকু আভাস পর্য্যন্ত নাই। কিন্তু এ ভাবে চিন্তা করিবারও অধিক সময় মিলিল না । ওখানে শিবু একেবারে অধৈৰ্য্য হইয়া পড়িল। কহিল “ধাৎ, এর কেবল ই ক’রেই দাড়িয়ে থাকৃতে জানে, যা ! আমি নিজেই নিচ্ছি। থোষামদ আমার ভাল লাগে না,* বলিয়াই অসীম বিরক্তির সঙ্গে দুই চারি পা অগ্রসর হইতেই দীচুর স্ত্রী আসিয়া সম্মুখে অাড় হইয়া দাড়াইল । বাধা দিয়া কছিল “বাবাঠাকুর । অমন কাজটি করে না, এ পোড়া জাত কি সেই তপিস্যে করেছিল যে, বামুনের হাতে দেবে জল । হায় রে পোড়া কপাল!” বলিয়া শিরে করাঘাত করিয়া পুনশ্চ কহিল,"আমরা কি আবার মানধ্যি না কি ! আমরাও শিয়াল কুকুরের সামিল, উপরওয়ালার বিচের যে বাবা,’ বলিতে বলিতে তাহার মুখ অসম্ভব রকমের পাওর হইল, কখা ফুটল না। শুধু কেবল অক্ষমের যা চির সম্বল, সেই চোখের জল ধারাব মত নামিতে লাগিল । শিবু এতবড় করুণ মূৰ্ত্তিকেও আঘাত করিতে এতটুকু ইতস্ততঃ করিল না । কহিল, “নাও, তোমাদের ও ঘ্যানঘ্যাননি আমার ভাল লাগে না ; তোমার উপরওয়ালার ত আর খেয়ে-দেয়ে কাজ নেই, কে কোথায় কাকে জল দিচ্ছে তাকে ত্রিশূল নিয়ে তাড়া ক’রে যাওয়া হয়েছে র্তার কাজ । ওসব কি জান, ও একেবারে মিছে কথা । সত্যি কথা হচ্ছে, তোমরা শুধু বাবাদের ভয় কর, তা নইলে এইত আমি জল খাচ্ছি, দেখি একবার কোন ত্রিশূগওয়াল খোচা দিতে আসেন” বলিয়াই সে দ্রুতবেগে ও-কোণের কলসীটার ধারে গিয়া চটু করিয়া একঘটি জল গড়াইয়। লইল । মুহূর্তে এই নারীর কঠিন সংস্কারের বাধ প্রবল বস্তার আঘাতে বালির স্তুপের মত ভাঙ্গিয়া চুরিয়া ধসিয়া একাকার হইয়া গেল । দ্রুতপদে শিবুর কাছে আসিয়া পরম স্নেহের স্বরে সে কহিল, “বাৰ ঠাকুর । শুধু জল ত আমি ম’রে গেলেও তোমাকে খেতে দেব না। একটুখানি ঐ পিড়ির উপর গিয়ে ব’স, আমিই সব ঠিক ক’রে দিচ্ছি" বলিয়াই যেমন ভাবে আসিয়াছিল ঠিক তেমনি ভাবে ছুটির স্বরের ভিতর চলিয়া গেল ।