পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిగిరి প্রবাসী—আষাঢ়, ^రిరి(t [ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড eeAMeAMMA AA AMMAMMMMMMS MMAMAAA AMMJAMAeMAAJAMM AMAMMMMMAAMMA AMMAMMMAASAAMMAAAMAMMAAA AAAA AAAA SAAJJJSAASAASAASAASAA দেব কি ? কলকাতায় ভাল লাগছিল না ব’লে কয়েক দিন এখানে কাটিয়ে যেতে এলাম। একলা মন টিকৃবে না ব’লে ইন্দ্রকে পাকৃড়ে এনেছি।” দেওয়ানজী বলিলেন, “বাবা, নিতান্ত ছেলেমামুষের মত কথাটা বললে। তোমার এ-সব কিছু ভাল লাগতে না পারে, কিন্তু এ সব দরকার যে প্রজারা সব মুর্থ মানুষ, তারা কি এ সব লিম্পিলিসিটির মানে বোঝে ? তাদের কাছে নিজের মান বজায় রাখতে হ’লে এ সব হাঙ্গাম না ক’রে উপায় নেই।” সুবীরের তখন ঠিক তর্কযুদ্ধে প্রবৃত্ত হইবার ইচ্ছা ছিল না । সুতরাং সে আর কথা না বাড়াইয়া উঠিয়া পড়িল । জমিদারের প্রাসাদ ষ্টেশন হইতে মাইল-খানেক দূরে। তাহাদের পৌছিতে বেশী দেরী হইল না। সুবীরের অপ্রত্যাশিত আবির্ভাবে চাকর-বাকর সব সন্ত্রস্ত হইয়া উঠিল। ঘরগুলি বেশীর ভাগই বন্ধ পড়িয়াছিল, কেবল দু-চারটায় চাকররা নিজেদের আড ডা স্থাপন করিয়া মহামুখে বাস করিতেছিল। গাড়ী লইতে লোক আসিবামাত্র তাহারা হুড়াহুড়ি করিয়া নিজেদের পোটুলাবিছানা প্রভৃতি সরাইতে প্রবৃত্ত হইয়াছিল। সুবীর যখন আসিয়া পৌছিল, তখনও চারিদিকে ভৃত্য-রাজকতন্ত্রের চিহ্ন মুম্পষ্ট, সে সেগুলি অগ্রাহ করিয়াই বৈঠকখানায় গিয়া বসিল। ইন্দ্র বলিল, “মুবীরবাবু, কিছু যদি মনে না করেন, বেজায় তেষ্টা পেয়েছে ।” স্থবীর দেওয়ানীর দিকে ফিরিবামাত্র তিনি বলিলেন, “এই-যে সব এসে পড়ল ব'লে। যদি একটু খবর দিয়ে আসতে, কোনো অসুবিধাই হ’ত না। এই সবেমাত্র দুদিন আগে বামুন ঠাকুরুণটি তীর্থ করার ছুটি নিয়ে গেলেন। আমি জানি যে এখন তোমাদের জাস্বার কোনোই সম্ভাবনা নেই, তাই দিলাম ছেড়ে । সঙ্গে তোমাদের তারা পিসী ঠাকুরুণও গিয়েছেন । কাজেই কাটা দিন কষ্ট ক’রে আমার বাড়ীর ডাল-ভাতই খেতে হবে। একটু জলখাবার, চা করতে ব’লেই এসেছি, এতক্ষণে হ'য়ে গেছে।” সুবীর অপ্রস্তুত হইয়া বলিল, “তাইত খবর না দিয়ে আপনাকেই বিপদে ফেললাম দেখছি।” দেওয়ানজী বলিলেন, “এটা আমার বিপদ হ’ল না কি ? অবগু যদি তোমরা খেতে ন পার, তা হলে বিপদই হবে।” ইতিমধ্যে একরাশ লুচি, তরকারি, ভাজা, নানাপ্রকারের পিঠা, মিষ্টান্ন প্রভৃতি বহন করিয়া চার পাচ জন চাকর আসিয়া উপস্থিত হইল। দেওয়ানজী ব্যস্ত হইয়া বলিলেন, “এই দেখ, ব্যাটার ‘চাটাই ভুলে এসেছিস । আরে সেটাই যে আগে দরকার!” সুবীর বলিল, “ব্যস্ত হবেন না, চা এক বেলা না থেলে কোনো অসুবিধাই হ’বে না।” বৃদ্ধ দেওয়ানজী সে কথায় কান না দিয়া চাকরদের বকিতে বকিতে নিজেই বাহির হইয়া পড়িলেন। ইন্দ্র বলিলন “লিন সুধীরবাবু, আরম্ভ ক’রে দিন। ভদ্রত ক’রে জল চাইছিলাম বটে, কিন্তু আশা ছিল মনে মনে, তার চেয়ে সারবান পদার্থ কিছু জুটুবে ।” খাইতে থাইতেই চা আসিয়া পড়িল । দেওয়ানজী নিজে সাম্নে বসিয়া তাহাদের সব জিনিষই কিছু কিছু খাওয়াইয়া তবে ছাড়িলেন। মুবীর আপত্তি করায় বলিলেন, “রান্না হ’তে কত দেরি হবে তার ঠিকানা কি ? কিছু না খেয়ে রাখলে পিত্তি প’ড়ে যাবে যে ” জলযোগান্তে মুবার বলিল, “একবার জ্যাঠাইমার সঙ্গে দেখা করে আলি, তারপর ইজকে নিরে ঘুরতে বেরনো যাবে।” দেওয়ানজীর স্ত্রীকে সুবীর জ্যাঠাইমা বলিয়া ডাকিত । দেওয়ানজী বলিলেন, “তোমার কাকার ওখানেও একবার ষেও। তিনি খুব ভূগছেন শুনলাম, না গেলে ভাল দেখাবে না।” সুবীর বলিল, “হ্যা, যাব একবার বিকেলে ।” এমন সময় একটি চাকর আসিয়া নমস্কার করিয়া দাড়াইল । সুবীর জিজ্ঞাসা করিল, “কি চাও ?” চাকরাট জিজ্ঞাসা করিল, “শোবার জন্তে কোন কোন घब्र ठेिक कब्रुव ?” সুবীর বলিল, “গোটাদশ ঘরের কিছু প্রয়োজন নেই, একটা ঘর হ’লেই হবে। দুটো বিছানা বেশ ক'রে ঝেড়ে পরিষ্কার করে পেতে রেখ ।”