পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏԳ8 SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS কাগজখানা টানিয়া বাহির করিল। ইন্দ্র জিজ্ঞাসা করিল, “কি সুবীরবাবু, কি খবর?” স্থবীর বলিল, “এই দেখ পড়ে। নিজের ভার নিজে নেবার ব্যবস্থাটা খুব ভাল ক’রেই হচ্ছে ।" ইন্দ্র টেলিগ্রাম পড়িয়া দেখিল। ভবানী মারা গিয়াছে, ভানুমতীর অবস্থাও ভাল নয়। সুবীর উঠিয়া পড়িল । বলিল, “চল, এবারকার মত বেড়ান এই পৰ্য্যন্ত। দেরি করলে বিকালের ট্রেণটা ধরতে পারব না।” কাহারও কাছে বিদায় লইবার অপেক্ষ না করিয়া সুবীর আর ইন্দ্র বাহির হইয়া পড়িল। জমিদারবাড়ীতে পৌঁছিয়া দেখিল ট্রেণ ছাড়িতে আর আধঘণ্টাও নাই। নিজেদের স্নাটকেশ ও ব্যাগ লইয়া কেবলমাত্র দেওয়ানজীর সঙ্গে দেথা করিয়া তাহার ট্রেণ ধরিতে চলিল। হাবড়া ষ্টেশনে নামিয়া ইন্দ্র বলিল, “বিকেলেই দাদাকে নিয়ে আমি আস্ব। দরকার থাকে ত বলুন, বাড়ী না গিয়ে আপনার সঙ্গেই যাই ।” মুবীর বলিল, “না না, এত কিছু দরকার নেই। বাড়ী যাও, বিকেলে এলেই হবে। তোমাকে শুধু শুধু যাওয়া-আসার কষ্টট দিলাম, বেড়ান ত কিছুই হল না।” ইন্দ্র বলিল, “আমার সঙ্গে ভদ্রতা সুরু করলেন শেষকালে ? ঐ যে আপনার ড্রাইভার আপনাকে খুজছে।” ড্রাইভার কাছে আসিয়া সেলাম করিতেই স্থবীর জিজ্ঞাসা করিল, “মা কেমন আছেন ?” ড্রাইভার বলিল, “আগের চেয়ে কিছু ভাল আছেন।” বাড়ী পৌঁছিয়া সুবীর এক ছুটে মায়ের ঘরে গিয়৷ চুকিল । সামনাসামনিই ভবানীর ঘরের দরজাট। তালা দিয়া বন্ধ। দৃশুটা যেন কাটার মত তাহার চোখে বিধিয়া গেল। জোর করিয়া সে দিক হইতে সে চক্ষু ফিরাইয়া লইল । ভানুমতীর অবস্থা প্রায় একই রকম ছিল, জ্ঞান ফিরিয়া আসিয়াছিল, এইটুকুমাত্র তফাৎ। ঘরের ভিতর ঢুকিয়াই মুবীরের প্রথম চোখে পড়িল একটি নস"। ভবানী বাচিয় থাকিতে রোগ যতই কঠিন হউক,কখনও বাড়ীতে কাহারও জন্ত নস' ডাকিতে হয় নাই। সে নিজে অধিকাংশ নস অপেক্ষ রোগীর সেবাশুশ্রুষা ভালই করিতে পারিত। সে বিদায় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, তার বিদায় হওয়ার অর্থ যে কতখানি তাহ বুঝিতে আর কাহারও বাকী রহিল F1 || সুবীরের অপেক্ষায় ডাক্তার ঘরের ভিতর বসিয়াই ছিলেন। তাহাকে ঢুকিতে দেখিয়া বলিলেন, “একটু তন্দ্রার ভাব এসেছে, এখন ডাক্বেন না । চলুন, আমরা বাইরে গিয়ে কথা বলি।” সুবীর খানিকক্ষণ দাড়াইয়া ভানুমতীর দিকে তাক ইয়া রহিল। যেন শ্বেতপ্রস্তরে গড়া রমণীমুৰ্ত্তি। কোথাও রক্তের লেশ নাই, কোথাও প্রাণের স্পন্ন নাই। তিন দিন আগে মুবীর তাহাকে দেখিয়া গিয়াছে, ইহারই ভিতর এমন শীর্ণ, এমন প্রাণহীন মূৰ্ত্তি কোথা হইতে আসিয়া জুটিল ? বাহিরে আসিয়া সে ডাক্তার বাবুকে জিজ্ঞাসা করিল, *বাড়ীতে আপনি কি তখন থেকেই আছেন ? মাসীমার বাড়ীর কেউ বুঝি আসতে পারেন নি ?” ডাক্তার বলিলেন, “না, কেউ আসতে পারেন নি। কাল তাদের বাড়ী বিয়ে গেছে, আজ বেী আসবে, কি করেই বা আসবেন ? আমি আর সরকার মশাই বাড়ী আগৃলে আছি।” সুবীর জিজ্ঞাসা করিল, খুব কি কষ্ট পেয়েছিল ?” ডাক্তার বলিলেন, "পরশু রাত্রে আটটার সময়। না, শেষের দিকে বিশেষ কিছুই কষ্ট পায় নি। আপনার মাকে এখনও আমরা জানাইনি।” সুবীর জিজ্ঞাসা করিল, “মায়ের অসুখ কি আগেই হয়েছিল ? আমি ত ভাবতে ভাবতে আসছি যে, ঐ খবর গুনেই বোধ হয় এমন হয়েছে। হঠাৎ তা হ’লে এমন হ’ল কেন ?” ডাক্তার বলিলেন, “সেটা ত এখন অবধি ঠিক বলতে পারছি না। ভবানী-দিদির অবস্থা খুব খারাপ দেখে সরকার মশাই তাকে আপনার মাসীমার বাড়ী থেকে ডেকে জানতে পাঠিয়েছিলেন। এসে তিনি ঘরে ঢুক্লেন

  • ভবামা-দিদি গেল কখন ?