পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] দাবী ছিলেন, আর আমরানি দিন ক্ষীণী হয়ে পড়চি। আর এখনো দেথ চাষী মজুরদের। এখনো তা’র আমাদের সভ্যতার ঘুণীর ভিতর এসে পড়েনি—তাই এত অল্প তাদের অভাব । চেচাইয়া বাধা দিয়া প্রকাশ কহিল,—দোহাই তোমার সুনীত, আমাদের কথা হচ্চিল আমাদের কথাই বল । ও বেচারিদের আর এর ভিতর টেনে এন না । কি ওদের সুখ-দুঃখের জান তুমি বল দেখি ? আমরা কি ওদের মানুব বলে মনে করি, না কোন দিনও করেচি ? ওদের জন্ম হয়েছিল শুধু আমাদের মুখ-সুবিধার জন্তে ! বলিতে বলিতে গভীর উত্তেজনায় প্রকাশের মুখ দীপ্ত হইয়। উঠিল । সে আবার বলিতে লাগিল,-তুমি হয়ত বলবে সমাজ সংঠনের আদিম বুৰ্গ হ’তে এমনি কৰ্ম্ম-বিভাগ চ’লে আস্চে । তা মানি, হয় ত সমাজ-রক্ষার জন্ত কৰ্ম্ম বিভাগ প্রয়োজন । কিন্তু তাই ব’লে মামুধে মানুষে এমন আকাশ-পাতাল প্রভেদ কখনো নীতি-সন্মত হ’তে পারে না । স্থখ-সম্ভোগের উপর তারামে গড়াগড়ি দিয়ে অনেকে বলতে পারেন বটে ওদের অভাব অল্প। কিন্তু তারা কেবল মনকে চোখ ঠেরে রেখেচেন । তাহার চোখ দিয়া একটা অস্বাভাবিক জ্যোতি ঠিকৃল্লিয়। বাহির হইতেছিল। বিস্ময়ে চোখ মেলিয়া নিৰ্ণিমেষ দৃষ্টি তাহার পানে নিবদ্ধ করিয়া মুনীত কি সে ঠাহর করিয়া লইল তাহ সেই জানে। তার পর একটু হাসিবার চেষ্টা করিয়া কহিল, তুমি দেখচি একজন আস্ত বিপ্লববাদী হ’য়ে উঠেচ । দরজার পাশে ঘোমটা টানিয়া খালা হাতে মুরবাল আসিয় দাড়াইয়া ছিল। এতক্ষণে তাহার দিকে দৃষ্টি পড়িতে প্রকাশ হাসিয়া উঠিল। সে কহিল, দেখেচ সুনীত, স্বরর কাণ্ড । ঐখানে দেয়ালের আড়ালে সাত-হাত ঘোমটা টেনে চুপ করে দাড়িরে আছে। লজ্জা কিসের, স্বর ? ও-যে স্বনীত । এস এস, খাবায় এইখানে দিয়ে बi७ ।। জড়সড় হইয়া অত্যন্ত সঙ্কোচের সহিত সুরবালা থাদ্যদ্রব্যগুলি মুনীতের সাম্নে আনিয়া রাখিল ; খাবার সামান্ত—খানকতক পরোটা আর কিছু তরকারী। (tశి-3) আপন-পর 8›ዓ


SSAS SSAS SSAS SSASAS SSAS SSASASA AAA

থাইতে যাইতে মুনীত বলিল, বৌদি’ত চমৎকার রাধে । প্রকাশ হাসিল—ছ, একেবারে দ্রৌপদী। তবে শাক দিয়েই দুৰ্ব্বাসার পারণ রক্ষা করতে হয়, এই যা। স্বনীত মেীন রহিল। চোথা তীরের মত প্রকাশের কথাগুলি তাহার মনের ভিতর কাটিয়৷ কাটিয়া বসিয়া মস্তিষ্ক জুড়িয়া একটা ধ্বনি রশিয়া তুলিতে লাগিল। সেই ধূসর দেয়ালগুলির ছোয়াচে তাহার স্বাভাবিক ফুৰ্বি দমিয়া গিয়াছিল। মনে হইল, এই স্থান ছাড়িয়া বড় রাস্তার স্বচ্ছন্দ আলো-বাতাসের মধ্যে নামিয়া চলিয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে একটি,কথা মনে উঠিতে সে আশ্চৰ্য্য হইয় গেল। মাত্র দুই বছর তাহদের দেখা হয় নাই-মাত্র দুইটা বছর । কিন্তু কালচক্রের এই দুইমটিাত্র বিবৰ্ত্তন বন্ধুদ্বয়ের মধ্যে যে সাগর খুড়িয়া দিয়াছে, সারা জীবনেও বুঝি তাহা আর ভরিয়া উঠিবার নহে। সুনাত উঠিয়া দাড়াইল । কহিল—আজ আসি, প্রকাশ । উভয়ে নীরবে রাস্তায় নামিয়া আসিল । সুনীত ফিরিয়া কহিল—একটা কথা বলব, কিছু মনে কর না, প্রকাশ । —কি ? —জুয়ো খেলতে বসে কেউ হারে, কেউ জেতে। কিন্তু সকলেই খেলাটাকে খেলার মত দেখে থাকে । প্রকাশ মুহূৰ্বকাল নীরব রহিল। ভার পর একটু হাসিয়া সে বলিল,—তী-হ’লে জুয়ারী যখন দেউলে হয়ে আসামীর কাঠগড়ায় এসে দাড়াবে—খালাস দিও। ব’লে, দোষ খেলার, তার নয়। মুনীত বিদায় হইল। ফিরিয়া আসিয়া প্রকাশ মাদুরের উপর সটান শুইয়া পড়িয়া চক্ষু মুদ্রিত করিল। কি কাজে মুরবালা উপরে আসিয়াছিল। ঘোর সন্ধ্যা, তখনো প্রকাশ গুইয়া আছে দেখিয়া সে জিজ্ঞাসা করিল, ওকি, এখনো শুয়ে আছ ? উঠবে না ? প্রকাশ জবাব দিল, না । মুরবালা ঝু কিয়া আলগোছে হাতখানি তাহার গায়ের উপর রাখিয়া কহিল,—অমুখ করে-নি-ত ? হঠাৎ সরীস্বপ-জাতীয় জীব গায়ে পড়িলে লোক যেমন